Breaking News
Loading...
Friday, June 18, 2010

মাও জা তোং (১৮৯১-১৯৭৬) হুনানে জন্ম। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। মাও জাতোং লংমার্চের নেতৃত্ব দেন এবং আমৃত্যু চীনা প্রজাতন্ত্রের চেয়ারম্যান ছিলেন। ধ্রম্নপদী শৈলীতে তিনি কবিতা রচনা করেন। তাঁর প্রকাশনার সংখ্যা প্রায় দুই হাজার তিনশত।

চীনা কমিউনিস্ট বিপ্লবের নেতা এবং রাজনৈতিক তাত্ত্বিক মাও সে তুংয়ের জন্ম ১৮৯৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর। চীনের হুনান প্রদেশের শাওশা গ্রামের এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করা সত্ত্বেও নিজ প্রচেষ্টায় তিনি চীনা কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যানের শীর্ষ পদে পৌঁছাতে পেরেছিলেন এবং সফলভাবে গণপ্রজাতান্ত্রিক চীনের রাষ্ট্রনায়ক হয়েছিলেন। তাই গণপ্রজাতান্ত্রিক চীনের প্রতিষ্ঠাতা বা 'চেয়ারম্যান মাও' হিসেবেও তিনি সুপরিচিত। মাও ছাত্রজীবন থেকেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে ২৪ বছর বয়সে রাজধানী পিকিংয়ে গমন এবং মার্কস তত্ত্বের আলোকে কমিউনিস্ট আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে তিনি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
কমিউনিস্ট পার্টি গড়ার পরপরই চীনের গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। দীর্ঘ দুই যুগের গৃহযুদ্ধ শেষে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীন জন্মলাভ করে। কমিউনিস্ট পার্টি অব চীনের চেয়ারম্যান হিসেবে এ সময় মূলত তিনিই রাষ্ট্র পরিচালনা করতেন, যা তার মৃত্যু পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। বর্ণাঢ্য জীবনের শেষ ভাগে এসে মাও সে তুং বেশ দুর্বল ও অসুস্থ হয়ে পড়েন। জীবনের শেষ ৬ মাস তাকে খুব একটা প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। অনেকের মতে, এ সময় তার মৃত্যু হলেও তা কাউকে না জানিয়ে মাওয়ের অনুপস্থিতিতে কী প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে, তাই পরখ করেন তার উত্তরসূরিরা।
২ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬-এর মাও সে তুং তৃতীয়বারের মতো হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এ সময় তার ফুসফুসে সংক্রমণসহ নানা জটিলতা দেখা দেয়। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে ৯ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা ১০ মিনিটে মাও মৃত্যুবরণ করেন। মাওয়ের ইচ্ছা ছিল তিনিসহ তার দলের সব কেন্দ্রীয় নেতার মৃত্যুর পর তাদের দেহ যেন পুড়িয়ে ফেলা হয়। এ লক্ষ্যে ১৯৫৬ সালে একটি প্রস্তাবও তিনি স্বাক্ষর করেন। তবে মৃত্যুর পর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেইজিংয়ের তিয়ানআনমেন স্কয়ারে তাকে সমাহিত করা হয়। পরবর্তীতে তার সমাধিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে 'মাও সে তুং স্মৃতিসৌধ'।


মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ [অব.]

0 comments:

Post a Comment