মাত্র নয় বছরের বয়সেই শত শত প্রতিযোগীকে পিছনে ফেলে সফলতার প্রান্তে দাঁড়াতে পেরেছে সে। মেধা, যোগ্যতা ও বিশ্বাসের ভিত মজবুত ছিল বলেই তার এই অর্জন। সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি তার সফলতা এনেছে তা হলো সবার উৎসাহ। পরিবারে সংগীতের আবহ থাকার কারণেই তার এত দূর পথ চলা বলে জানায় দ্বিতীয় মেরিডিয়ান-চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ নূসরাত জুহুরী প্রান্তি। বড় হয়ে সত্যিকারের একজন সংগতিশিল্পী হতে চায় তিনি। তার জন্ম ২০০১ সালের ৩১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বাবা আফজাল আলী রতন পেশায় ব্যবসায়ী। মা হাসিনা আফজাল পুরোদস্তুর গৃহিণী।
বুঝতে শেখার বয়সের আগেই সংগীতে প্রান্তির হাতেখড়ি। বাবা ব্যবসায়ী হলেও গানের সঙ্গে আছে তার প্রত্যক্ষ যোগাযোগ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের চেনামুখ প্রান্তি সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেনের ক্লাস ফোরের ছাত্রী। সে তিন বোনের মধ্যে মেজো। তারা তিন বোনই গান করেন। পারিবারিকভাবে প্রান্তি গানে তালিম নিলেও বর্তমানে সুরসম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ একাডেমীতে ক্লাসিক্যাল শিখছে। তার পছন্দের শিল্পী রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন ও সুবীর নন্দী। বড় হয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করতে চায় প্রান্তী। মেরিডিয়ান-চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ হওয়াটা তার জীবনের একটি বড় অর্জন বলে জানাল সে। গত ১০ জুন সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার মাথায় বিজয়ীর মুকুট পরানো হয়। জমকালো ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, শিল্পমন্ত্রী দীলিপ বড়ুয়া ও যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী আহাদ আলী সরকার এবং এমপি জাহিদ হাসান রাসেল। বিজয়ীর মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন প্রধান দুই বিচারক হুমায়ূন আহমেদ ও শাওন এবং ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ফিল্ম লিমিটেড ও চ্যানেল আই পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ। এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ইমপ্রেস গ্রুপের পরিচালক জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন ও আবদুর রশিদ মজুমদার এবং মেরিডিয়ান ফুডস্ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম কামাল পাশা। আরো উপস্থিত ছিলেন পুরস্কারদাতা প্রতিষ্ঠান ক্রাউন্ট সিমেন্ট, সিটিসেল, ক্যামব্রিয়ান, ফ্যান্টাসি কিংডম, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালের পক্ষে ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিবর্গ। মেরিডিয়ান-চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ হওয়ার অনুভূতি প্রসঙ্গে প্রান্তি জানায়, ‘যখন বিজয়ী হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করা হলো, তখন আমার কী রকম ভাল লেগেছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। আনন্দে আমার চোখে পানি এসেছিল। আমার এই সাফল্যে বাবা-মা অনেক খুশি হয়েছে। তাদের ও সবার উৎসাহে আমার এই অর্জন।’
নুসরাত জুহুরী প্রান্তি
Info Post
0 comments:
Post a Comment