Breaking News
Loading...
Monday, July 16, 2012

মাত্র দুটি উপন্যাস, গোটাপাঁচেক গল্পগ্রন্থ আর একটি প্রবন্ধ সংকলন_এই হলো আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের রচনাসম্ভার। এত অল্প লিখেই তিনি বাংলা সাহিত্যজগতে চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। ১৯৪৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা জেলার গোটিয়া গ্রামে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাকনাম মঞ্জু। তাঁদের পৈতৃক বাড়ি বগুড়া জেলায়। তাঁর মায়ের নাম বেগম মরিয়ম ইলিয়াস। বাবা বদিউজ্জামান মোহাম্মদ ইলিয়াস পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (১৯৪৭-১৯৫৩) এবং মুসলিম লীগের পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি ছিলেন। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের কর্মজীবন শুরু হয় জগন্নাথ কলেজে প্রভাষক পদে যোগদানের মাধ্যমে। এরপর তিনি মিউজিক কলেজের উপাধ্যক্ষ, প্রাইমারি শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরিচালক, ঢাকা কলেজের বাংলার প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত উপন্যাস দুটি হলো : 'চিলেকোঠার সেপাই', 'খোয়াবনামা', 'অন্য ঘরে অন্য স্বর', 'খোঁয়ারি', 'দুধভাতে উৎপাত', 'দোজখের ওম' এবং 'জাল স্বপ্ন, স্বপ্নের জাল'_এই পাঁচটি তাঁর ছোটগল্প সংকলন। তাঁর প্রবন্ধ সংকলনটির নাম 'সংস্কৃতির ভাঙ্গা সেতু' যাতে ২২টি প্রবন্ধ রয়েছে। ১৯৮৩ সালে ইলিয়াস বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান এবং ১৯৯৬ সালে আনন্দ পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারি আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী বলেছেন, 'কী পশ্চিম বাংলা, কী বাংলাদেশ_সবটা মেলালে তিনি শ্রেষ্ঠ লেখক।'

0 comments:

Post a Comment