Breaking News
Loading...
Monday, April 8, 2013

কুতুবুদ্দিন আইবকের মৃত্যুর পর ১২১১ খিস্টাব্দে তার অকর্মণ্য দত্তকপুত্র আরাম শাহ্'কে সিংহাসনচ্যুত করে দিলি্লর মসনদে বসেন কুতুবুদ্দিনের জামাতা শামসুদ্দীন ইলতুৎমিস (১২১১-১২৩৬)। প্রথম জীবনে ইলতুৎমিস ছিলেন কুতুবুদ্দিনের ক্রীতদাস। পরে তার কর্মদক্ষতা ও বিচক্ষণতায় মুগ্ধ হয়ে কুতুবুদ্দিন তার সঙ্গে নিজ কন্যার বিবাহ দান করে তাকে বদাউনের শাসনকর্তা নিয়োগ করেন। সিংহাসনে আরোহণের পর ইলতুৎমিসকে একাধিক বৈদেশিক আক্রমণ ও আঞ্চলিক বিদ্রোহের সম্মুখীন হতে হয়। তিনি কঠোর হাতে সব বিদ্রোহ দমন করেন ও বৈদেশিক আক্রমণ প্রতিহত করেন। শুধু তাই নয়, উজ্জয়িনীসহ বেশকিছু নতুন অঞ্চলও তিনি সুলতানির অন্তর্ভুক্ত করেন। তার রাজনৈতিক বিচক্ষণতার কারণে ভারতের বিস্তৃর্ণ অঞ্চল দুর্ধর্ষ মোঙ্গল শাসক চেঙ্গিজ খাঁর আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পায়। ১২২৯ খ্রিস্টাব্দে বাগদাদের খলিফা তাকে 'সুলতান-ই-আজম' উপাধি দিলে দিলি্ল সুলতানির গৌরব বদ্ধি পায় এবং এই সুলতানি স্বতন্ত্র ও সার্বভৌম অস্তিত্ব মুসলিম জগতে স্বীকৃত হয়। কৃতজ্ঞতাবশত ইলতুৎমিস তাঁর মুদ্রায় নিজেকে 'খলিফার সেনাপতি' বলে উল্লেখ করেন। সুলতান ইলতুৎমিস সুশাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। স্থাপত্য শিল্পের ক্ষেত্রে তার শাসনামল ইতিহাসে ঠাঁই করে নিয়েছে।

গ্রন্থনা : তাহ্মীদুল ইসলাম।

0 comments:

Post a Comment