১৯৮৯ সালের ৮ মে মাগুরায় জন্ম প্রতিভাময়ী কর্ণিয়ার। পৈতৃক নিবাস ঝিনাইদহে হলেও বাবা আবু বকর ও মা সেলিনা আক্তার। বাবার চাকরি সূত্রে জন্মের পরপরই ঢাকায় চলে আসা। ছোটবেলা থেকে তার জগৎ ছিল সাজানো-গোছানো। বিএএফ শাহীন স্কুল থেকে মাধ্যমিক, আইডিয়াল কমার্স কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ চুকিয়েছেন। বিবিএ করেছেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে।
ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি যে কাজটি নিয়মিত করে আসছেন, তা হলো গান শেখা। মায়ের কাছেই নিয়ম করে গানের অ আ শেখা। ষষ্ঠ শ্রেণীতে উঠে টিটু শিহাবের কাছে গান শেখা।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আর স্টেজ শোতে অংশ গ্রহণ করে বুঝতে পারেন সংগীতে সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে তার জন্য। এই বিশ্বাসকে আরো জোরালো করতে ভর্তি হন ছায়ানটে। তারপর ওস্তাদ সঞ্জীব দের কাছে ক্ল্যাসিকসহ সব ধরনের গানের তালিম নিয়েছেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গাইতে গাইতে গায়িকা হিসেবে কর্ণিয়ার একটা অবস্থানও দাঁড়ায়। তবে পাওয়ার ভয়েস ২০১২-এ দ্বিতীয় স্থান অর্জন কর্ণিয়ার গানের গতি আরও বাড়িয়ে দেয়।
‘পাওয়ার ভয়েস'-এর পর থেকে কর্ণিয়ার কাজের ব্যস্ততা বেড়েছে হুড়হুড় করে। স্টেজ শো, টিভি লাইভ শো, প্লেব্যাক, মিক্সড অ্যালবাম- সব কিছুর জন্যই এখন নিয়মিত ডাক পাচ্ছেন তিনি। গত ঈদে আরটিভি, গাজী টিভি, চ্যানেল নাইন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরসহ বেশ কয়েকটি চ্যানেলে লাইভ পারফর্ম করেছেন। প্লেব্যাকটাও সমান্তরালে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জাকির হোসেন রাজুর 'রাঙা মন' চলচ্চিত্রে রাজীবের সঙ্গে একটি দ্বৈত গানে কণ্ঠ দেন তিনি। 'দ্য স্টোরি অব সামারা' চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন ‘মাতাল হাওয়া বয়ে যায়’ শিরোনামে একটি আইটেম গানে। শফিক পরিচালিত ‘স্বপ্নছোঁয়া’ চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন একটি আইটেম গানে।
ভবিষ্যতে মিউজিকের ওপর মাস্টার্স করার ইচ্ছা আছে।
রুনা লায়লার গান খুব পছন্দ কর্ণিয়ার। ভাল স্টেজ পারফর্মার হতে চান তিনি। মঞ্চ কাঁপাতে চান পপকন্যা মিলার মতো। গান ও পড়াশোনা এ দুই নিয়েই এখন কর্ণিয়ার জীবন। এই জীবনকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন দেখেন তিনি। স্বপ্নের ভেলায় চড়ে দূরে-বহুদূরে হারিয়ে যেতে চান তিনি।
0 comments:
Post a Comment