Breaking News
Loading...
Monday, January 11, 2010


ব্রিটানি মরফির জন্ম হয় ১৯৭৭ সালে ১০ নভেম্বর। আমেরিকার আটলান্টা জর্জিয়ায় তার জন্ম। মাত্র ২ বছর বয়সে বাবা-মার ডিভোর্স হয়ে যাওয়াতে ব্রিটানি বড় হয় নিউজার্সিতে তার মায়ের কাছে। পরবর্তীতে যখন ব্রিটানি নিউজার্সি থেকে লস এঞ্জেলসে চলে আসেন তখন থেকেই তার অভিনয়ে আগ্রহের জন্ম। মায়ের উপরে ছিল অগাধ বিশ্বাস, আর তাই হয়তো মায়ের দোয়াতেই ব্রিটনি হয়ে উঠেছিলেন খুব অল্প সময়েই হলিউডের জ্বলজ্বলে তারকাদের একজন। ব্রিটনির মা ছিলেন একজন ইউরোপিয়ান বংশদ্ভুত আর ব্রিটনির বাবা ছিলেন একজন ইটালিয়ান আমেরিকান। হলিউডে ব্রিটনির যাত্রা শুরম্ন হয় মাত্র ১৪ বছর বয়সে। ড্রেকসেলস ক্লাস নামে একটি ধারাবাহিকে মূল চরিত্রের অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার হলিউডে তার পদার্পন ঘটে। এর পরে একনাগারে বেশকিছু হলিউড ধারাবাহিকে তাকে দেখা গেছে। ১৯৯৭ সাল থেকে ব্রিটনির ক্যারিয়ারে যুক্ত হয় নতুন এক ধারা। এটা ছিল এনিমেশন মুভিতে কণ্ঠ দেয়া। জনপ্রিয় এনিমেশন সিরিজ কিং অফ দি হিল এই সিরিজের মূল ক্যারেক্টার লুনি পস্নাটার-এর ভয়েজে প্রথমবারে মতো দেখা মেলে ব্রিটনি মরফির। সিনেমা ক্যারিয়ারে ব্রিটনি বেশকিছু সফল সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে ছিল- ১৯৯৫ সালে রিলিজ হওয়া ক্লুলেস, ১৯৯৯ সালে রিলিজ হওয়া ইন্টারাপ্টেড, ১৯৯৯ সালে রিলিজ হওয়া ড্রপ ডেড গর্জিয়াস, ২০০১ রিলিজ হওয়া ডোন্ট সে এ ওয়ার্ড, ২০০২ রিলিজ হওয়া এইট মাইল (এমিনেমের জীবনের গল্পের একটু পরিবর্তিত রূপ এইট মাইল) এবং ২০০৩ রিলিজ হওয়া আফটাউন। এছাড়াও রয়েছে Clueless, The Dead Girl (একে একধরণের রশোমন বলা চলে।এক মৃত মেয়ের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত কয়েকটি চরিত্র ও ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে তাদের গল্প।একটু ভিন্ন ধরণের মেকিং), Interrupted, Uptown Girls (ধনী থেকে হঠৎই নিঃস্ব হয়ে মলি।বাধ্য হয়ে সে একরোখা আট বছরের রে-এর দেখা-শোনার চাকরি নেয়।যে কিনা মলি'র তুলনায় অনেক ম্যাচিউর্‌ড।ধীরে ধীরে মলি'র স্বভাবেও পরিবর্তন আসে।), Sin City, Happy Feet, Little Black Book(স্টেসি এক টক শো এর প্রডিউসার।যে কিনা মনে করে,তার বর্তমান বয়ফ্রেন্ড ডেরেক তার জীবনসঙ্গী হবার উপযুক্ত।চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার আগে,এক কলিগের পরামর্শে স্টেসি ডেরেকের তিন সাবেক গার্লফ্রেন্ডের সাথে কথা বলে।এর পরই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়) ও Riding in Cars with Boys (বেভার্‌লি তথা ড্রিউ ব্যারিমুর একই সাথে ভালো ছাত্রী এবং সরল এক মেয়ে।তার জীবনের গল্প বর্ণিত হয়েছে ফ্ল্যাশব্যাকে।বেভার্‌লি'র বেস্ট ফ্রেন্ড ফে (ব্রিট্যানী)।খুব টাচী এক স্টোরি)।


অভিনয়ের পাশাপাশি সঙ্গীত আর মডেলিং-এও ব্রিটনি ছিলেন সমানভাবে দক্ষ। ৯০ দশকে বিস্নস্ড সোলড নামে একটি ব্যান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন ব্রিটনি। এছাড়া ২০০৬ এর ৬ জুন পল অকেনফোল্ড এর সাথে মিলে ফার্স্টার কিল্ড পুসিক্যাট নামে একটি অ্যালবাম রিলিজ করেন ব্রিটনি। এই অ্যালবামের গান এ লাইভলি মাইন্ড নামে গানটি আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন ক্লাবে ক্লাবহিট নামে সাড়া জাগায়। এছাড়া গানটি বিলবোর্ড হট ডান্স ক্লাব পেস্ন চার্টের শীর্ষে স্থান পায়। এছাড়া জনপ্রিয় এনিমেশন মুভি হ্যাপি ফিট-এর জন্য গান সামবডি টু লাভ এই বিখ্যাত গানটি। গান গাওয়া বাইরে ব্রিটনি আমেরিকার বিখ্যাত ব্র্যান্ড জর্ডেক জিন্স-এর ব্র্যান্ড এম্বাসিডর হন।
ব্রিট্যানীর বেশিরভাগ কাজ "চিক ফ্লিক" অথবা "টিন-এজ রোমান্স" জেন্‌রের।অনেকদিন পর্যন্ত তার বড় একটা পরিচয় ছিলো,তিনি অ্যাশ্‌টন কুচারের গার্লফ্রেন্ড।অনেকে মনে করেন হতো এক দিন সাপোর্টিং অ্যাক্ট্রেস হিসেবে ব্রিট্যানী অস্কার পাবেন।
ব্যক্তিগত জীবনে খুব একটা সুখী ছিলেন না ব্রিটনি মরফি। অনেকের সাথে তার প্রণয়ের গল্প শোনা গেলেও ২০০৭ মে মাসে মরফি বিয়ে করেন ব্রিটিশ চিত্রনাট্যকার সাইমন মনজ্যাককে।
সফল জীবনের ধারক এই শিল্পী আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নেন ২০ ডিসেম্বর তুষার ঢাকা শীতার্ত সকাল ১০টা ৪ মিনিটে। আটকে পড়া বাথরম্নম থেকে উদ্ধার কর্মীরা যখন তাকে দ্রুত নিয়ে যায় কেডার্স-সিনে মেডিকেল সেন্টারে তখন সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। আপাত ডাক্তারদের ভাষ্যমতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়েই তার মৃত্যু হয়। তবে মৃত্যুর বেশ কিছু দিন আগ থেকে তিনি ফ্লুতে আক্রান্ত ছিলেন ও হার্টের সমস্যা ছিল।

0 comments:

Post a Comment