শাফিন আহমেদ বাংলাদেশের জনপ্র্রিয় পপ সংগীত শিল্পী। বাংলাদেশের পপ গানে তার অবদান অসীম। শাফিন আহমেদের জন্মদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি। শাফিন আহমেদের মা সঙ্গীত শিল্পী ফিরোজা বেগম এবং বাবা সুরকার কমল দাশগুপ্ত ।
এই পরিবারে জন্ম নেয়ার সুবাদে শাফিন আহমেদ ছোটবেলা থেকেই গানের মধ্যে বড় হয়েছেন । বাবার কাছে যেমন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত মাঝে মাঝে শিখেছেন তেমনি মার কাছে শিখেছেন নজরুল গীতি । তাদের বাড়িতে সবসময়ই সঙ্গীত চর্চা হতো। তবে কোনো ধরণের বিধি-নিষেধ ছিল না সেখানে। বলতেন না বাবা-মা কেউই যে, এই গান করো, সেই গান করো না। এরপর বিদেশে পড়াশোনার সুবাদে পাশ্চাত্য সংগীতের সংস্পর্শে এসে ব্যান্ড সঙ্গীতের শুরু। ফলে নিজের আগ্রহেই তিনি ঝুঁকে পড়েন ওয়েস্টার্ন মিউজিকের প্রতি। পরিচিত হন বিগ পার্পল, সান্তানা, পিংক ফ্লয়েড আর বিটলস’র মতো বিখ্যাত সব ব্যান্ডের সাথে। তারপর ধীরে ধীরে গড়তে শুরু করেন তার নিজস্ব সঙ্গীত ভুবন, অনেকটা শখের বশেই। নেহায়েত শখের বশেই ১৯৭৯ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘মাইলস‘। যেখানে শুরু থেকেই যুক্ত হন শাফিন আহমেদ। প্রথম কয়েক বছর এই দল বিভিন্ন পাঁচতারা হোটেলে ইংরেজী গান গাইত । এরপর তাদের বাংলা গানের প্রথম এ্যালবাম বের হয় ১৯৮২ সালে । এই এ্যালবামের জনপ্রিয়তা এবং বিটিভিতে সেসময় প্রচারিত তাদের একটি অনুষ্ঠানে দশর্করা ব্যাপক সাড়া দেয়। একের পর এক উপহার দিয়েছে ‘প্রত্যাশা’, ‘প্রতীক্ষা’ আর ‘প্রতিধ্বনি’ ছাড়াও আরো দারুণ, মনকাড়া সব অ্যালবাম। পাশ্চাত্য সঙ্গীত মূল ভিত্তি হলেও শাফিন আহমেদ স্বীকার করেন যে, এই সঙ্গীত শেখার কোন সুযোগ বাংলাদেশে নেই বলে তাদেরকে নিজেদের চেষ্টা এবং শুনে শুনেই এই সঙ্গীত শিখতে হয়েছে ।
শাফিন আহমদ তিন দশক ধরে বাংলদেশের জনপ্রিয় পপ ব্যান্ড ‘মাইলস‘-এর সদস্য ছিলেন। কিন্তু মাইলস-এর সাথে তাঁর যাত্রার অবসান ঘটে ২০১০ সালের জানুয়ারী মাসে যখন তিনি গ্রুপ থেকে বের হয়ে আসেন। পরে নিজে 'রিদম অফ লাইফ' ব্যান্ড গঠন করেন।
শাফিন আহমেদ
Info Post
0 comments:
Post a Comment