Breaking News
Loading...
Monday, August 23, 2010

তিন শতাব্দীর সাক্ষী ছবিরন বেওয়ার বয়স ১৪১ বছর। বাড়ী নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার পিওভাগ গ্রামে। স্বামী মারা গেছেন প্রায় ৪০ বছর আগে। তিন শতাব্দীর সাক্ষী এ বয়োবৃদ্ধ মহিলা এখনও নিজ হাতে প্রয়োজনীয় সব কাজকর্ম করতে পারেন। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও নেপাল, ভুটান ও পাকিস্তানি অনেক ছাত্রছাত্রীরাও দেখতে এসেছে দেশের এ প্রবীণ নারীকে। প্রায় দেড়শ’ বছর বয়সী এ নারী এখনও ছেলেবধূকে নিয়মিত রান্নাবান্না এবং তরিতরকারি কাটার কাজে সহযোগিতা করেন। তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার বাবার বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলার কচুগাড়ি গ্রামে। ঠিক কত সালে বিয়ে হয়েছিল তা মনে নেই তার। তবে গরুর গাড়িতে করে স্বামীর বাড়ি এসেছিলেন তা মনে আছে। তার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী তিনি। তারও আগে আরও দুই জায়গায় বিয়ে হয়েছিল তার। একমাত্র ছেলে সাবেক প্রধান শিক্ষক বেলায়েত হোসেন (৮৫) জানান, তার মায়ের বয়স ১৪১ বছর। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সময় ভোটার গণনাকারী তার জন্মতারিখ কমিয়ে ১০/০৬/১৮৭৯ করেছেন। কিন্তু তার প্রকৃত বয়স ১৪১ বছর। সে সময় জন্ম নিবন্ধনের নিয়ম না থাকায় এমনটি হয়েছে। ছবিরন বেওয়ার সত্ ছেলে সাবেক স্কুল মাস্টার দলিল উদ্দিন (৯১) জানান, ছোট মার বয়স ১৪০-১৪১ বছর হবে। এ বয়সেও ছবিরন বেওয়া নিজ হাতে সব কাজ করতে পারেন। একা একাই এ বাড়ি সে বাড়ি ঘুরে বেড়ান। বেশিক্ষণ এক স্থানে শুয়ে-বসে থাকতে বিরক্ত লাগে বলে তিনি জানান। তার ছেলেবধূ হাজেরা বেগম জানান, কোনো কোনোদিন তাকে কাজ করতে না দিলে তিনি রাগ করেন। কাজ করলে নাকি তার শরীর ভালো থাকে। ব্রিটিশ, পাকিস্তান এবং স্বাধীন বাংলাদেশ—এই তিন আমলের নীরব সাক্ষী ছবিরন বেওয়াকে দেখতে প্রায়ই দূরদূরান্ত থেকে অনেক উত্সাহী লোকজন তার বাড়িতে ভিড় জমান। অনেকেই মনে করেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বয়সের মানুষ হবেন ছমিরণ বেওয়া।

0 comments:

Post a Comment