শীর্ষ নারী নেত্রী জুলিয়া গিলার্ড এর জন্ম যুক্তরাজ্যের ব্যারি ভ্যালি অব গ্লামরগানের ওয়ালসে। ১৯৬১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। পাঁচ বছর পর স্বদেশ ছেড়ে বাবা জন আর মা ময়েরার সঙ্গে সোজা দক্ষিণ অষ্ট্রেলিয়ার প্যাসাডোনায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু। বাবা-মা দুই জনই ছিলেন নার্সিং পেশায়। তাই শৈশবে একমাত্র বন্ধু বলতে ছিল অ্যালিসন নামে তিন বছরের বড় বোনটি।
হ্যাঁ, এতক্ষণ যার কথা বলছিলাম, তিনি হলেন টাইম ম্যাগাজিনের তালিকায় এবছরের বিশ্বের সেরা দশ প্রভাবশালী নারীর শীর্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়ার ২৭তম প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড। জুলিয়ার প্রথম স্কুল ছিল মিচাম ডেমোনেস্ট্রেটর, তারপর আনলি হাইস্কুল। এক এক করে ইউনিভার্সিটি অব এডেলেইড। সেখানেই প্রথম রাজ্যের শ্রমমন্ত্রীর বোনের হাত ধরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি। একসময় বন্ধুদের প্রেরণায় লেবার ক্লাবে যোগ দেন তিনি। ১৯৮৩ সালে তিনি ছিলেন দ্বিতীয় নারী যিনি অস্ট্রেলিয়ান ইউনিয়ন অব স্টুডেন্টসের নেতৃত্ব চলে আসেন। এরপর ১৯৮৬ সালে ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন থেকে একাধারে সাহিত্য এবং আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন জুলিয়া। মাত্র ২৯ বছর বয়সে স্লটার অ্যান্ড গর্ডান ফার্মে ১৯৯০ সালে পেশা হিসেবে বেছে নেন আইন ব্যবসাকে।
২৪ জুন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ক্যাভিন রুড পদত্যাগ করায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান জুলিয়া গিলার্ড। ৪৮ বছর বয়সী জুলিয়া এর আগে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সেই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী, কর্মপরিকল্পনামন্ত্রী এবং সমাজকল্যাণমন্ত্রী হিসাবেও সফলতার সঙ্গে কাজ করেছেন। আর এবার অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে তিনি হতে যাচ্ছেন প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে এবং ধর্মীয় জীবনে বিশ্বাসী নন জুলিয়া। যদিও তার ছেলেবন্ধুর তালিকায় রয়েছে টিম মথিসনের নাম। ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর অস্ট্রেলিয়াকে রানির ক্ষমতায়ন থেকে মুক্ত করারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। জুলিয়ার কথা হলো, 'আমি কোনো ধর্মীয় ব্যক্তি নই, তবে ধর্মের প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। আমি চাই অস্ট্রেলিয়ায় স্বাধীন গণতন্ত্র বিকশিত হোক। আমরা রানির কাছ থেকে মুক্তি চাই।' শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অভিবাসন আইনের সংস্কারসহ তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল জলবায়ু পরিবর্তন রোধে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন কমিয়ে আনা। সবুজ পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেন জুলিয়া। আর এ জন্যই পশ্চিম মেলবোর্নের অ্যালটোনায় একটি সবুজ বাড়িতে থাকছেন তিনি।
জুলিয়া গিলার্ড
Info Post
0 comments:
Post a Comment