সমাজতন্ত্রবাদী সংগ্রামী রাজনীতিক মোহাম্মদ তোয়াহা। ৫২'র ভাষা আন্দোলন এবং সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে আপোষহীন ভূমিকা ছিল তার। তোয়াহার জন্ম ১৯২২ সালের ২ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুরের কুশাখালী গ্রামে। জোতদার পরিবারে জন্ম নিয়েও তিনি আন্দোলন করেছেন শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষের জন্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে তিনি ফজলুল হক হলের ভিপি ছিলেন। সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের অন্যতম সদস্য হিসেবে ভাষা আন্দোলনে কারা নির্যাতন ভোগ করেন। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেও সম্পৃক্ত হন। ৫৪-তে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালী থেকে পূর্ববঙ্গ পরিষদের সদস্য নির্বাচিত এবং যুক্তফ্রন্ট সরকার ভেঙে দেওয়ার পর গ্রেফতার হন। ৫৭-তে কাগমারী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী ও ভাসানীর মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে তিনি ভাসানীর পক্ষে অবস্থান নেন।
পরে ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)'র রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ৫৮-তে সামরিক শাসন জারির পর হুলিয়া নিয়ে প্রায় ৭ বছর ফেরারি জীবনযাপন করেন। মওলানা ভাসানীর সঙ্গে বিরোধ ঘটায় ৭০ সলে ন্যাপের রাজনীতি ত্যাগ করে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সাম্যবাদী দল। ৭৯-তে নোয়াখালী-১৩ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৮০'র দশকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ত্যাগী ভূমিকা ছিল তার। ১৫ দলীয় জোট গঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। ১৯৮৭ সালে ২৯ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন
মোহাম্মদ তোয়াহা
Info Post
0 comments:
Post a Comment