Breaking News
Loading...
Thursday, November 11, 2010

মেধাবী, দুঃসাহসী, রহস্যময়ী এক ভাস্কর্য শিল্পী। বর্তমান শহীদ মিনারটির নকশায় তিনি শিল্পী হামিদুর রহমানকে সহায়তা করেছিলেন। সেই রহস্যময়ী মানুষটির নাম নভেরা; নভেরা আহমেদ। বাংলাদেশের প্রথম আধুনিক নারী ভাস্কর্য শিল্পী। জন্ম আনুমানিক ১৯৩০ সালে চট্টগ্রামে। হাসনাত আব্দুল হাই নভেরার জীবন-নির্ভর উপন্যাসে তাকে তুলে ধরে ছিলেন এভাবে - " নভেরা যতটা না তার ভাস্কর্যের জন্য বিখ্যাত, তার চেয়ে বেশি আলোচিত ছিলেন তার বৈচিত্র্যময় জীবনযাপন আর বেশভূষার কারণে- রুদ্রাক্ষের মালা গলায়, উঁচু খোপার জটা মাথায় পঞ্চাশ-ষাটের রক্ষণশীল সমাজে অবলীলায় ঘুরে বেড়াতেন নভেরা। " ১৯৫৭সালে হামিদুর রহমানের সঙ্গে জলাধার-অলংকরণে বৃক্ষ ও পত্রপল্লবের সমারোহসহ তিনি যেভাবে শহীদ মিনারের প্রকৃত নকশা দিয়েছিলেন তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। যুক্তরাজ্যে ড. বোগেল এবং ইটালির ভেনচুরির কাছ থেকে ভাস্কর্যের ওপর শিক্ষাগ্রহণ করেন নভেরা। তিনি ছিলেন প্রস্ববণী-ভাস্কর্য নকশায় পারদর্শী। সেই ধারনায় একটি নতুন ভূমিচিত্র শহীদ মিনারের নির্মাণ চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ১৯৫৮ সালের শেষের দিকে আইয়ূব খান সামরিক আইন জারী করলে তার সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এরপর অভিমান করে স্বেচ্ছা নির্বাসন নেন নভেরা। চলে যান শিল্পীদের স্বর্গরাজ্য ফ্রান্সের প্যারিসে। ১৯৬০ সালে নভেরার প্রদর্শনীতে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন বলেছিলেন, আমাদের শিল্পী জীবনে নভেরার কাজের অভিঘাত মূল্যায়ন করতে বহু প্রজন্মের প্রয়োজন হবে। ১৯৬০ দশকের পর নভেরা আর বাংলাদেশে ফেরেননি সম্পর্ক রাখেননি বন্ধু বা আত্মীয়ের সাথেও। এমনকি ১৯৯৭ সালে যখন বাংলাদেশ সরকার ভাস্কর্যে অবদান স্বরূপ নভেরা আহমেদকে একুশে পদক দিয়ে সম্মানিত করেন, তখন সেই পুরস্কার নিতেও তিনি দেশে আসেননি।
তার শিল্পকর্মের কিছু ছবি

0 comments:

Post a Comment