Breaking News
Loading...
Saturday, February 26, 2011

মুয়াম্মার আল গদ্দাফি লিবিয়া'র সাবেক প্রধানমন্ত্রী, আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। জন্মগ্রহন করেন ৭ জুন ১৯৪২ সনে।

চার দশকেরও বেশি সময় ধরে লিবিয়ার সর্বময় ক্ষমতায় রয়েছেন মুয়াম্মার আল গাদ্দাফি। ১৯৭২ সালের ১৬ জানুয়ারি ১২ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভা গঠন করে নিজেকে লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন তিনি। কিন্তু বছর দুয়েক পর হুট করেই আবার মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করে লিবিয়ার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে 'নেতা' উপাধি গ্রহণ করেন। যে কোনো বিষয়ে ঝটপট সিদ্ধান্ত গ্রহণে গাদ্দাফির জুড়ি মেলা ভার। তার গতিপ্রকৃতি বোঝা কোনো সাধারণ লোকের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে গাদ্দাফির নামের পাশে 'আনপ্রেডিক্টেবল লিডার' খেতাব জুড়ে যেতে সময় লাগেনি। ১৯৬৯ সালের সেপ্টেম্বরে নিজের ভাগ্যের চাকা নিজেই ঘুরিয়ে নেন মুয়াম্মার আল গাদ্দাফি। লিবিয়ার সর্বময় ক্ষমতায় তখন বাদশাহ ইদ্রিস। আর ২৭ বছরের তরুণ গাদ্দাফি লিবিয়ান সেনাবাহিনীর একজন সাধারণ কর্মকর্তা। বছর ছয়েক আগে যোগ দিয়েছেন মিলিটারিতে। পদোন্নতি হতে হতে ক্যাপ্টেন পর্যন্ত এসে থেমেছেন ততদিনে। সাধারণ এক বেদুইন পরিবারে জন্ম হলেও অনাদরে বড় হননি।

একমাত্র পুত্রসন্তান গাদ্দাফিকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল বাবা-মায়ের। তাই শত অভাব-অনটনে থেকেও স্কুলে ভর্তি করে তাকে। পরিবারের এই ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা কখনো ভুলেননি তিনি। ছোটবেলায়ই সিদ্ধান্ত নেন, যে করেই হোক কোনো একটা জায়গায় পেঁৗছতে হবে। স্কুলে পড়ার সময় মিসরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গামেল আবদেল নেসার ছিলেন গাদ্দাফির সুপারহিরো। বক্তৃতা দেওয়ার সময় গামেলের ভরাট কণ্ঠস্বর মুগ্ধ করত তাকে। ইহুদি ও ইসরায়েলবিরোধী ছাত্রসংঘতি গড়ে তুলেছিলেন সেসময়েই। কিন্তু পড়াশোনায় লবডঙ্কা! আবার পড়াশোনায় মনোনিবেশ করে ১৯৬৩ সালে শেষ করলেন হাইস্কুল। কিন্তু ততদিনে রাজনীতির পোকা ধরে ফেলেছে তাকে।
১৯৫১ সালে ইতালির কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে লিবিয়া শাসন করে চলছিলেন বাদশাহ ইদ্রিস। কিন্তু বাদশাহকে ভালো লাগেনি গাদ্দাফির। ১৯৬৩ সালে লিবিয়ান মিলিটারিতে ঢোকার পর থেকেই গোপনে জল ঘোলা করতে শুরু করেছিলেন তিনি। ব্রিটেন এবং আমেরিকার কাকতাড়ুয়া বাদশাহ ইদ্রিসকে শায়েস্তা করতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি তাকে। সুযোগ এসে গেল ১৯৬৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর। শারীরিক অসুস্থার কারণে বাদশা ইদ্রিস তখন দেশের বাইরে। ব্যাস, গাদ্দাফির অনুসারী সেনাবাহিনীর তরুণ কিছু কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে লিবিয়াতে ঘটিয়ে দিলেন এক রক্তপাতবিহীন সফল সামরিক অভ্যুত্থান। মুহূর্তেই প্রেক্ষাপট বদলে গেল লিবিয়ার। নিজেকে রেভুলেশনারি কমান্ড কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে জন্ম দিলেন রিপাবলিক অব লিবিয়ার। ক্ষমতায় এসেই আইডল গামেল আবদেলের নীতি অনুসরণ করলেন তিনি। গাদ্দাফির ক্ষমতা দখল করার অন্যতম লক্ষ্য ছিল, লিবিয়া থেকে পশ্চিমাপন্থী রাজতন্ত্রকে উৎখাত করে ইসলামী সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। ক্ষমতায় আরোহণের পর থেকেই পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের কঠোর সমালোচনা শুরু করেন গাদ্দাফি। শুরু থেকেই পশ্চিমা ও ইসরায়েলবিরোধী নীতি গ্রহণ করেন। শুরুতেই বিতাড়িত করলেন লিবিয়ায় ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকা ব্রিটিশ এবং মার্কিন সেনাদের। তারপর বহিষ্কার করলেন ইহুদিদের। ইহুদিদের বিপক্ষে বরাবরাই শক্ত অবস্থানে ছিলেন গাদ্দাফি এবং এখনো আছেন। ব্যাংক আর তেল খাতকে জাতীয়করণ করে মুহূর্তে পথে বসিয়ে দিলেন বিদেশি কোম্পানিগুলোকে। ১৯৭০ সালের জুন মাসের মধ্যেই নিজের অবস্থানকে পুরোপুরি গুছিয়ে নিলেন তিনি। কিন্তু সমস্যা দেখা দিল অন্য জায়গায়। রিভুলেশনারি কমিটির আর্মি অফিসারদের সঙ্গে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব শুরু হলো তার। গাদ্দাফি দেশের শাসনভার গ্রহণের পর প্রকৃত অর্থে কোনো ক্ষমতাই প্রদান করেননি তাদের। কিন্তু মুখে মুখে তোয়াজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়তই।

একসময় এরকম অবহেলা আর সহ্য করতে না পেরে অভ্যুত্থানের সময় সঙ্গে থাকা সেই সামরিক কর্মকর্তারাই সিদ্ধান্ত নিলেন গাদ্দাফিকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার। শুধু তারাই নন, সঙ্গে যোগ দিল পশ্চিমারাও। শুরু হয়ে গেল একের পর আক্রমণ। কিন্তু গাদ্দাফিও কম যান না। সবাইকে কাঁচকলা দেখিয়ে প্রতিটি ষড়যন্ত্রই ব্যর্থ করে বহাল তবিয়তেই টিকে রয়েছেন তিনি। এমনকি ১৯৮৬ সালে তাকে হত্যার জন্য লিবিয়ায় বোমা হামলাও চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেবার অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিলেন তিনি। বহু বছরের সেই সাপে-নেউলে সম্পর্কের সীমারেখা পেরিয়ে ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান গাদ্দাফি। ১৯৪২ সালের ৭ জুন জন্ম নেওয়া মুয়াম্মার আল গাদ্দাফির বাহারি পোশাক, সানগ্লাস এবং উদ্ভট কর্মকাণ্ড বিশ্বে তাকে পরিচিত করেছে এক রহস্যময় চরিত্র হিসেবে। দীর্ঘকাল লিবিয়ার শাসনক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছেন তিনি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার চাপ ও নানাবিধ অবরোধ সত্ত্বেও তিনি এ দেশটির ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ। পররাষ্ট্র নীতিতে অত্যন্ত তুখোড় এই লিবিয়ান নেতা বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন। নানাবিধ সহায়তায়ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বহু দেশে। বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলোতে তার জনপ্রিয়তা বেশ চোখে পড়ার মতো। আফ্রিকার দুই শতাধিক রাজা ও আদিবাসী নেতা তাকে 'রাজাদের রাজা' উপাধিতে ভূষিত করেন। আফ্রিকাজুড়ে একই মুদ্রাব্যবস্থা ও পাসপোর্ট চালু করার পক্ষপাতী গাদ্দাফি। কিন্তু কতটুকু সফল হতে পারবেন সে ব্যাপারে সন্দিহান রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই। কেননা কাজের চেয়ে কথা বেশি বলেন তিনি। অন্যদের বিরক্তির উদ্রেক করে দীর্ঘ সময় ধরে বক্তৃতা দিতে তিনি সক্ষম। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে নির্ধারিত ১৫ মিনিটের জায়গায় প্রায় একশ' মিনিট অপ্রাসঙ্গিক বক্তৃতা দেওয়ার ঘটনা তা-ই প্রমাণ করে বিশ্ববাসীর সামনে।

মোয়াম্মার আল গাদ্দাফীর সন্তান-সন্ততি আট জন। এদের মধ্যে সাতজন ছেলে এবং একজন মেয়ে। তার আরেকটি মেয়ে ১৯৮৬ সালে তার বাড়িতে মার্কিন বিমান হামলায় মৃত্যুবরণ করে। গাদ্দাফীর বড় ছেলে মোহাম্মাদ গাদ্দাফী লিবিয়ান অলিম্পিক কমিটি এবং তাঁর দ্বিতীয় ছেলে সা’দ গাদ্দাফী লিবিয়ান ফুটবল ফেডারেশন পরিচালনা করছেন। সা'দ নিজেও একজন বেশ ভালো ফুটবলার এবং তিনি লিবিয়ার জাতীয় দলে খেলেন। তাঁর তৃতীয় পুত্র সাইফ আল ইসলাম একজন চিত্রশিল্পী এবং একটি চিকিৎসালয় এর পরিচালক। তাঁর একমাত্র কন্যা আয়েশা গাদ্দাফী একজন আইনজীবী এবং তিনি ইরাকের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেইনের পক্ষে আইনী লড়াই করে বেশ আলোচিত হয়েছিলেন। এছাড়া দেশের ভেতরে শিক্ষা-স্বাস্থ্য প্রভৃতি জনকল্যাণমূলক কাজে তিনি আত্মনিবেদিত। তার অপর তিন ছেলে আল মুতাস্সীম, হানওয়ীল এবং খামীস এখনও অখ্যাত। সম্প্রতি ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর ষষ্ঠ পুত্র হানওয়ীল প্যারিসে পুলিশি ধাওয়ার শিকার হন।

মিডিয়াগুলো প্রায়ই কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ‘পাগল স্বৈরশাসক’ এবং ‘রক্তপিপাসু দৈত্য’ বলে অভিহিত করে আসছে। কিন্তু এই অভিযোগগুলো কিসের ভিত্তিতে আর কেনইবা করা হচ্ছে?

লিবিয়ায় বসবাসরত আদিবাসী গোষ্ঠির সংখ্যা একশ পঞ্চশেরও বেশি। এদের মধ্যে প্রধান দুটি গোষ্ঠী হলো মেঘারবা এবং ওয়াফাল্লাহ। মেঘাবরা গোষ্ঠি লিবিয়ার দক্ষিণের ত্রিপোলিতানিয়াতে বসবাস করে এবং ওয়াফাল্লাহ গোষ্ঠি বাস করে পূর্বের অংশে। মেঘাবরা ১৮৫৫-১৯১১ সাল পর্যন্ত তুর্কিশদের সহায়তায় সবগুলো আদিবাসী গোষ্ঠিকে একত্রিত করার চেষ্টা চালিয়েছিল। যার ফলে (১৯১১-৪৩) ইতালির কলোনিয়াল শাসকরা লিবিয়া ত্যাগে বাধ্য হয়।

লিবিয়াতে প্রথম তেল আবিস্কৃত হয় ১৯৫৯ সালে। সেসময় লিবিয়ার ক্ষমতায় ছিল সেনুসি আদিবাসী গোষ্ঠীর রাজা ইদ্রিস। লিবিয়ার তেল সম্পদ থেকে প্রাপ্ত মুনাফার অধিকাংশই তেল কোম্পানিগুলোকে নিয়ে যেতো। ১৯৬৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর লিবিয়ার সাধারণ জনগণের সমর্থণ নিয়ে কর্নেল গাদ্দাফি এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে গাদ্দাফি বারগা আদিবাসী গোষ্ঠীর এক নারীকে বিয়ে করেন। আর এই বিয়ের মধ্য দিয়ে পুরো জাতিকে একত্রিত করেন গাদ্দাফি।

ক্ষমতায় যাওয়ার পরপরই গাদ্দাফি লিবিয়ার তেল সম্পদ হতে প্রাপ্ত মুনাফা জনগণের মধ্যে বণ্টন করে দেন। একই সঙ্গে লিবিয়াতে সামাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো কায়েম করেন তিনি। লিবিয়াতে কোনো বেকারত্ব নেই। আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ জিডিপির দেশ লিবিয়া। দেশটির মাত্র পাঁচ শতাংশেরও কম মানুষকে বলা যায় যে তারা দরিদ্র এবং তার চেয়েও কম মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। হল্যান্ডের চেয়েও দারিদ্যের হার কম লিবিয়াতে।

লিবিয়ার মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭৫ বছর। পুরো আফ্রিকার মধ্যে সর্বোচ্চ গড় আয়ুর দেশ এটি। বিশ্ব জনসংখ্যার গড় আয়ুর চেয়েও ১০ শতাংশ বেশি তাদের গড় আয়ু।

দেশটির জনগোষ্ঠীর মধ্যে একমাত্র যাযাবর বেদুঈন এবং তুয়ারেগ আদিবাসী গোষ্ঠীর লোকজন ছাড়া সব পরিবারেরই একটা করে বাড়ি এবং গাড়ি আছে। লিবিয়াতে স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষাসেবা ফ্রি। যার কারণে লিবিয়ার সাক্ষরতার হার ৮২ শতাংশ। গত বছর গাদ্দাফি তার দেশের প্রতিটি নাগরিককে (পুরুষ-নারী-শিশু) ৫০০ ডলার করে বণ্টন করেন।

দেশে দেশে হানাহানির পরিমাণ ক্রমেই বাড়লেও লিবিয়ার মানবাধিকার লঙ্ঘনের রেকর্ড খুবই সীমিত। আন্তর্জাতিক কারাবরোধ নথি অনুযায়ী লিবিয়ার স্থান ৬১ তম। মধ্য ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে এই জরিপটি চালানো হয়। এতে তালিকার শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক কারাবরোধ নথির জরিপ অনুযায়ী যে সকল দেশে মানবাধিকার সুরক্ষিত হয় সেসব দেশের রেটিং হয় শেষের দিকে। সে হিসেবে লিবিয়ার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা অনেক খারাপ।

দেশের মানুষের জন্য এনেছেন বিপুল সুযোগ-সুবিধা ও উন্নয়ন। আসুন দেখে নিই গাদ্দাফির নেতৃত্বে লিবীয়দের অর্জন :


● আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক বা অন্য কারো কাছে লিবিয়ার এক পয়সাও দেনা নেই।
● উত্তর আফ্রিকার সবচেয়ে স্বাক্ষর দেশ লিবিয়া।
● লিবিয়ায় শিক্ষিত জনসংখ্যার ৮০% লোক পাশ্চাত্যের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত।
● একটি আধা কেজি রুটির দাম লিবিয়ায় পনেরো ইউএস সেন্ট (আমাদের দেশে ৪৫০ গ্রাম ওরিয়েন্ট পাউরুটির দাম পয়তাল্লিশ সেন্ট আর আমাদের মাথাপিছু আয় লিবীয়দের আয়ের ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ!)।
● লিবীয়দের জন্য ঋণের সুদের হার শূন্য শতাংশ অর্থাৎ কোনো সুদ নেই।
● লিবিয়া একটি ভিক্ষুকহীন দেশ।
● দেশটিতে ১০০% বেকারের বেকারভাতা নিশ্চিত।
● বিয়ের পর নবদম্পতির জন্য বিনামূল্যে ফ্ল্যাট বা বাড়ি।
● পৃথিবীর যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ। সেজন্য মাসে ২,৫০০ ইউএস ডলার বৃত্তির সাথে গাড়ি ও আবাসনভাতা।
● ন্যাটোর বোমাবর্ষণের আগে পর্যন্ত শূন্য (০) শতাংশ গৃহহীন নাগরিক।
● উৎপাদন মূল্যে (Ex factory price) গাড়ি।
● ছাত্ররা যে বিষয়ে পড়াশোনা করে সে বিষয়ে পড়াশোনা করে চাকরিরতরা গড়ে যে বেতন পেত সে পরিমাণ টাকা তাদের দেওয়া।

● প্রতিটি লিবীয়র জন্যে বিনামূল্যে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা।

অবশেষে তুমুল লড়াই আর বহু হতাহতের মধ্যদিয়ে ২০ অক্টোবর ২০১১ সনে লিবীয় নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন হয়। অবসান হয় তার ৪২ বৎসরের শাষন, তার অত্যন্ত বিশ্বস্ত প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড ইউনিটের উল্লেখযোগ্য সদস্য বিদ্রোহীদের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করে।
-* এজি মাহমুদ, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর, প্রজন্ম ফোরাম, নাগরিকব্লগ, এপি, টেলিগ্রাফ

0 comments:

Post a Comment