Breaking News
Loading...
Monday, January 30, 2012

আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ধর্মীয় গুরু শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির ১৯২০ সালের ২০ জানুয়ারি রাঙামাটি সদর উপজেলার মগবান ইউনিয়নের মোড়ঘোণা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পারিবারিক নাম ছিলো রথীন্দ্র চাকমা,পিতার নাম হারুমোহন চাকমা এবং মাতার নাম বীরপুদি চাকমা। তিনি বনে-জঙ্গলে সাধনা করেছিলেন বলে তিনি বনভান্তে হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। তিনি শিশুকাল থেকেই ধ্যান সাধনা করতেন। দীর্ঘ সাধনার পর অবশেষে সিদ্ধিলাভ করেন তিনি। তারপর শুরু করেন ধর্ম প্রচার। বনভান্তে ১৯৪৯ সালে গৃহত্যাগ করে প্রব্রজ্যা ও সন্যাস জীবন গ্রহণ করেন। প্রব্রজ্যা গ্রহণের পর তিনি ধুতাঙ্গ বিধি পালন করে সিদ্ধি লাভ করেন। ১৯৬৫ সালে চাকমা রাজগুরু শ্রীমৎ অগ্রবংশ মহাস্থবিরের নিকট উপসম্পদা গ্রহণ পূর্বক দীক্ষা নেন। ১৯৭৩ সালে রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলার তিনটিলা বৌদ্ধ বিহারে অবস্থানের সময় পার্বত্যাঞ্চলে ধর্ম প্রচারের মাধ্যমে বনভান্তের আভির্ভাব ব্যাপ্তি লাভ করে। । ১৯৭৪ সাল থেকেই শ্রীমৎ সাধনান্দ মহাস্থবির বনভান্তের রাঙামাটি রাজবন বিহারে অবস্থান করে আসছিলেন। বনভান্তের নামেই চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়ের দান করা প্রায় ২৫ একর জায়গায় ১৯৭৪ সালে নির্মিত হয় রাজবন বিহার কমপ্লেক্স। এটি এখন বাংলাদেশের প্রধান বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। আন্তর্জাতিক খ্যাত বৌদ্ধ তীর্থ। বনভান্তে এবং রাজবন বিহার দর্শনের জন্য প্রতিদিন অসংখ্য দেশি-বিদেশি পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থী ভিড় জমাতেন এখানে। প্রত্যেক বছর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবর দানোৎসবে লাখো জনতার সমাগম ঘটত রাজবন বিহারে। তিনি ২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারী পরলোক গমন করেন।

0 comments:

Post a Comment