জন্ম ১৯৪২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। পৈতৃক বাড়ি বাংলাদেশের বরিশালে।
১৯৫৪ সাল, তখন ১২ বছর বয়স পানুর (প্রতুলের ডাক নাম)। বড় ভাইয়ের উপহার দেওয়া বই থেকে মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমরা ধান কাটার গান গাই’ ছড়াটি সুর করে ফেললেন। সেই থেকে শুরু।
`৬০ এর দশকে প্রতুল ধীরে ধীরে যুক্ত হন বাম আন্দোলনে। নিজে গান লিখতে শুরু করেন ১৯৬৯ সালে। পড়াশোনা শেষ করে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। পরে চাকরি নিয়েছেন ইউনাইটেড ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতে। স্ট্যাটিসটিকস অ্যান্ড লং রেঞ্জ প্ল্যানিং বিভাগের প্রধান ব্যবস্থাপক ছিলেন।
১৯৮২ সালে এক বন্ধুর অনুরোধেই নিজেকে প্রকাশ করেন তিনি। এর আগে এমনও হয়েছে মঞ্চে বা রাস্তার পাশে কোথাও প্রতুলের লেখা ও সুর করা গান হচ্ছে। প্রতুল তার পাশ দিয়েই হেঁটে যাচ্ছেন। নিজের গান অন্য কেউ গাইছে শুনলেই, একটু দাঁড়াতেন। মনে হতো, গানের ওই জায়গাটা ঠিক হচ্ছে না। কিন্তু কিছু না বলেই চলে যেতেন। এভাবেই কেটেছে ১৯ বছর। পুরোটা সময় নিজের পরিচয় গোপন রেখেছিলেন।
এরপর থেকে আর থেমে থাকা নয়। চ্যাপলিনকে নিয়ে ‘সেই ছোট্ট দুটি পা’, কিংবা জ্যাক প্রেভরের ‘গিয়েছিলাম পাখির হাটে’, ‘লং মার্চ’ দিয়ে মন জয় করে নিয়েছেন শ্রোতাদের।
তিনি একজন গ্রেট। তাঁর গান চুরি করে অনেকে সস্তা খ্যাতি পেয়েছে। তিনি এসবের ধার ধারেন না। প্রতুলের কন্ঠ শুনলে মনে হয়, এর সাথে সোঁদা মাটির গন্ধের কোন তফাৎ নেই। এক কথায় অসাধারণ। ঠিক বোঝানো মুশকিল।
ReplyDelete