Breaking News
Loading...
Tuesday, August 7, 2012

একসময় হিন্দু সমাজে কোনো মেয়ের স্বামী মারা গেলে তাঁকে তাঁর স্বামীর সঙ্গেই চিতায় জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হতো। এই প্রথাকে বলা হতো 'সতীদাহ প্রথা'। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই প্রথার বিরুদ্ধে যাঁরা আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, তাঁদের প্রধান নেতা ছিলেন রাজা রামমোহন রায়। রামমোহন রায়দের আন্দোলনের ফলেই তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার ১৮২৯ সালে আইন করে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ করে। রাজা রামমোহন রায় ১৭৭২ সালের ২২ মে হুগলী জেলার রাধানগর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত কুলীন ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি হিন্দু ধর্মের একজন সংস্কারক হিসেবে আবির্ভূত হন। তিনি সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কারের উদ্দেশ্যে নিজের ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে গঠন করেন 'আত্মীয় সভা'। পরবর্তীকালে ১৮২৮ সালে তিনি গঠন করেন 'ব্রাহ্ম সভা' বা 'ব্রাহ্ম সমাজ'। রামমোহন রায় একেশ্বরবাদী মতবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। পরে এই ব্রাহ্মসমাজ এক সামাজিক ও ধর্মীয় আন্দোলন এবং বাংলার পুনর্জাগরণের পুরোধা হিসেবে কাজ করে। ১৮৩০ সালে খেতাবসর্বস্ব মুঘল সম্রাট রামমোহন রায়কে 'রাজা' উপাধিতে ভূষিত করেন। রামমোহন রায় ১৮৩১ সালে মুঘল সাম্রাজ্যের দূত হিসেবে যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করেন। পরে তিনি ফ্রান্সও পরিদর্শন করেছিলেন। ১৮৩৩ সালে মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয়ে ব্রিস্টলের কাছে স্টেপলেটনে মৃত্যুবরণ করেন। ব্রিস্টলে আরনস ভ্যাল সমাধিস্থলে তাঁকে সমাহিত করা হয়। ১৯৯৭ সালে মধ্য ব্রিস্টলে তাঁর একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়।

0 comments:

Post a Comment