মারিয়া ছিলেন সেই সময়ের একজন শ্রেষ্ঠ জার্মান শিল্পী-প্রকৃতিবিদ। যিনি পতঙ্গবিজ্ঞান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন। তিনি প্রজাপতি জীবন চক্র দ্বারা মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং তাদের রূপান্তরের প্রক্রিয়া গবেষণার বিষয় হিসাবে নিয়েছিলেন। ৫২ বছর বয়সে তিনি ফুল-চিত্রশিল্পী এবং শিক্ষক হয়েছিলেন। তিনি প্রকৃতির বিভিন্ন সৌন্দর্য এবং উপাদান সংগ্রহে উৎসাহ পান। ফলে তিনি নেদারল্যান্ডস এর প্রকৃতি ইতিহাস সংগ্রহে নেমে পড়েন।
মারিয়া শিবিলা মেরিন ১৬৪৭ সালের ২এপ্রিল জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুর্টে এক সুইস খোদকার এবং প্রকাশক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
দক্ষিণ আমেরিকায় থাকার সময় তিনি ডাচ উপনিবেশ এর আশেপাশে ভ্রমণ করেছিলেন। সেখান থেকে তিনি স্থানীয় প্রাণী ও উদ্ভিদ এর ইতিহাস সংগ্রহ করতে থাকেন। দুই বছর পরে তিনি অ্যামস্টারডামে ফিরে আসেন। সেখানে প্রাপ্ত প্রকৃতি ইতিহাস নিয়ে একটি সচিত্র বই বের করার কাজ শুরু করেন। অবশেষে ১৭০৫ সালে 'দ্যা মেটামরফোসিস অব দ্যা ইনসেক্টস অব সুরিনাম' নামক বইটি বের করেন।
দীর্ঘ জীবনের কাজ শেষে ১৭১৭ সালে তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে যান।
সূত্র: ঢাকা টাইমস
0 comments:
Post a Comment