Breaking News
Loading...
Tuesday, April 2, 2013


আমেরিকা তথা বিশ্বের দীর্ঘতম সময়ব্যাপী ক্ষমতায় থেকে স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুর রেকর্ড গড়েছেন ফ্রাংকলিন ডিলান্ডো রুজভেল্ট। নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি চার মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি ভবনে তার প্রথম প্রবেশ ঘটে ১৯৩৩ সালের ৪ মার্চ আমেরিকার ৩২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। এর আগে তিনি একজন সিনেটর, নৌবাহিনীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এবং নিউইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তার সময়ে বেকারত্বের হার ২৫% থেকে কমে ২%-এ নেমে আসে। পররাষ্ট্রনীতি এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে তার সমরনীতি প্রশংসিত হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার কার্যকাল ছিল ১২ বছর ১ মাস ৮ দিন। টানা চতুর্থ মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়ে তিনি যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের ছক আঁকছিলেন, তত দিনে তার বয়স প্রায় ৬৩ বছর। রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১২ বছর এবং এর আগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ৮ বছর অর্থাৎ টানা ২০ বছর তাকে অমানুষিক শ্রম দিতে হয় এবং অসংখ্য দেশ ও রণাঙ্গনে ঘন ঘন ভ্রমণ করতে হয়। এতে তার স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। ১৯৪৫ সালের ১২ এপ্রিল বিকালে তিনি মাথার পেছনে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। চিকিৎসকদের মতে, তার মাথায় তীব্র রক্তক্ষরণ হয়েছিল। ওইদিনই বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে রুজভেল্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। রুজভেল্টের অবদানের মূল্যায়ন করতে গিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছিল, 'আজ থেকে শতসহস্র বছর পরও মানুষ হাঁটু গেড়ে ঈশ্বরকে এই বলে ধন্যবাদ দেবে যে, হোয়াইট হাউসে একদা ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট ক্ষমতাসীন হয়েছিলেন।' রুজভেল্টের মৃত্যুর এক মাসের মধ্যে হিটলারের নাৎসি বাহিনী এবং জাপানের পরাশক্তির পরাজয়ের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। তার উত্তরসূরি হেরি এস ট্রু ম্যান আমেরিকা তথা মিত্রশক্তির এ বিজয়কে রুজভেল্টের স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করেন। রুজভেল্টের মৃত্যুতে আমেরিকার পতাকা অর্ধনমিত অবস্থায় ৩০ দিন জাতীয় শোক পালন করা হয়। তাকে স্প্রিং উড এস্টেটের রোজ গার্ডেনে সমাহিত করা হয়।

0 comments:

Post a Comment