Breaking News
Loading...
Sunday, November 17, 2013

বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র, পপ ও আধুনিক সঙ্গীতের জন্য বিখ্যাত তিনি। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত ও পাকিস্তানের চলচ্চিত্রের অনেক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই গুণী শিল্পী। পাকিস্তানে তাঁর গাওয়া “দমাদম মাস কালান্দার” গানটি অত্যন্ত জনপ্রিয়।
১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ এর সিলেট জেলায় রুনা লায়লা জন্ম গ্রহণ করেন।তাঁর বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ ইমদাদ আলী ও মা আমিনা লায়লা ছাড়াও ছিলেন বোন দীনা লায়লা । এছাড়াও আছেন ভাই সৈয়দ আলী মুরাদ।রুনা লায়লার স্বামী বাংলাদেশের এক সময়ের চলচ্চিত্র নায়ক আলমগীর।

বাবার চাকুরী সূত্রে রুনা লায়লার শৈশব এবং কৈশোরের কিছু সময় পাকিস্তানে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান) কেটেছে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক মেয়ের জননী। মেয়ে তানি লায়লাও একজন সঙ্গীত শিল্পী। তানি লায়লা বর্তমানে লন্ডন প্রবাসী।

রুনা লায়লা প্রথম মঞ্চে গান পরিবেশন করেন মাত্র ৬ বছর বয়সে। ১৯৬৪ সালে তাঁর প্রথম গান প্রকাশিত হয়।কণ্ঠশিল্পী হওয়ার জন্য মা-বাবা দু’জনই তাকে উৎসাহ জুগিয়েছিলেন।অল্প বয়স থেকে স্টেজে সঙ্গীত পরিবেশনের পাশাপাশি করাচি রেডিওতেও গান গাইতেন রুনা লায়লা। রুনা লায়লা ৫৪ বছর ধরে সঙ্গীত সাধনা করে চলেছেন।

১৯৬৬-৬৭ সালে পাকিস্তান ফিল্মের গানে খ্যাতির তুঙ্গে ছিলেন তখনকার জনপ্রিয় গায়িকা নূরজাহান। সেসময় রুনা লায়লার বয়স পনের হবে। উর্দু ও পাঞ্জাবি ছবির গানে কণ্ঠ দেয়া সবে শুরু করেছেন।

১৯৬৭ সালে পাকিস্তানি ছবিতে ‘দাইয়ারে দাইয়ারে দাইয়া’ গানটি গেয়ে করাচি, লাহোর, কোয়েটা, পেশোয়ারে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়ে ছিলেন রুনা লায়লা।
১৯৬৮ সালে ঢাকার সুরকার সুবল দাস রুনা লায়লাকে দিয়ে প্রথম ‘স্বরলিপি’ ছবিতে গান করালেন। গানটি ছিল ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে বলো কী হবে।’ ডুয়েট এ গানের অপর শিল্পী ছিলেন মাহমুদুন্নবী। গানটি সুপার হিট হয়। এই গানই রুনা লায়লার সঙ্গীত জীবনের টার্ণিং পয়েন্ট।

স্বাধীনতার পর নিজস্ব সিদ্ধান্তে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে চলে আসেন রুনা লায়লা।
১৯৭৪ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত রুনা লায়লা ঢাকার সিনেমার বাংলা গানে যে সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিলেন, সেই সাম্রাজ্য আজ পর্যন্ত কেউ নড়াতে পারেনি।
সুর প্রথমবার বুঝেই রুনা লায়লা গান গেয়েছেন। দ্বিতীয়বার বুঝতে হয়নি তাঁকে।
রুনা লায়লা এ পর্যন্ত ১৫ হাজার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।বাংলা ছাড়াও ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু এবং গুজরাটি ভাষাতে গান করেছেন তিনি।
চলচ্চিত্র:
১৯৯৭ সালে রুনা লায়লা নায়িকা হিসেবে ‘শিল্পী’ ছবিতে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রে তাঁর বিপরীতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন আলমগীর।
এ পর্য্ন্ত অর্জিত উল্লেখযোগ্য পুরুস্কারগুলো হল স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, (৪ বার)।

0 comments:

Post a Comment