Breaking News
Loading...
Tuesday, December 24, 2013

১৯৮৭ সালের ২০ মার্চ ভারতের হিমাচল প্রদেশে জন্ম নেয়া এই মেধাবী অভিনেত্রী যে কটি ছবিই করেছেন তার বেশির ভাগই ব্যবসা সফল হয়েছে। হিমাচলের ছোট শহর মান্ডিতে ছেলেবেলা পার হয় কঙ্গনার। মেধাবী এই শিল্পীর পড়াশোনা জীবন শুরু হয় চণ্ডীগড়ের ড্যাভ মডেল স্কুল থেকে। এরপর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ব্যাচেলর অব আর্টস ডিগ্রি গ্রহণ। কিছুটা খামখেয়ালি আর জীবনের কিছুটা কঠিন বাস্তবতার কারণে হঠাৎ করেই কলেজ জীবনে দাঁড়ি টেনে দেন তিনি। কিছুদিন পরেই এই অভিনেত্রী মডেল হওয়ার বাসনা নিয়ে চণ্ডীগড়ের সীমানা পেরিয়ে দিল্লিতে আসেন এবং ২০০৩ সালে এলিট মডেলিং এজেন্সির সাথে যুক্ত হন। কঙ্গনা তার ক্যারিয়ারের পাতা খোলেন আসমিতা থিয়েটারের মধ্য দিয়ে। থিয়েটারের পরিচালক অরবিন্দ গৌররে কাছ থেকে নেন থিয়েটার সম্পর্কিত প্রাথমিক তালিম। এরপর দিল্লিতেই সুযোগ তৈরি হয় মঞ্চে অভিনয়ের। কঙ্গনা গুরু অরবিন্দের সাথেই তার জীবনের প্রথম অভিনয় করেন থিয়েটারে তালেডান্ডা নামের এক নাটকে।

২০০৪ সালে কঙ্গনা রনৌত আশা চন্দ্র কোর্সে ভর্তি হন এবং বলিউডে ঢোকার সব বন্দোবস্ত করতে থাকেন। ভাগ্যের পেছনে কঙ্গনার খুব বেশি দৌঁড় ঝাপ করতে হয়নি বরং ভাগ্যই স্বয়ং খুঁজে নিয়েছে কঙ্গনাকে।

এরপর ২০০৫ সালে আরও বড় কিছু হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কঙ্গনা চলে আসেন মুম্বাইয়ে। পরিচালক অনুরাগ বসু কঙ্গনাকে একটি কফি শপে দেখতে পান। কঙ্গনার মিষ্টি হাসিকে ফেরাতে পারেননি এই খ্যাতিমান পরিচালকও। তাইতো তিনি কঙ্গনাকে সাথে সাথেই গ্যাংস্টার ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। মুক্তির পর বক্স অফিসে ঝড় তোলে ছবিটি। এর পর কঙ্গনা নামটিই যেন আস্তে আস্তে বদলে যেতে থাকে। চণ্ডীগড়ের এই বালিকা জায়গা করে নিতে থাকেন বলিউডে।

এ নির্মাতার গ্যাংস্টার ছবি দিয়েই ২০০৬ সালে বলিউডে অভিষেক ঘটে কঙ্গনার। প্রথম ছবিই সুপারহিট, জোটে ফিল্মফেয়ারে সেরা নবাগত অভিনেত্রীর পুরস্কারটিও। গ্যাংস্টার-এ দুর্দান্ত অভিনয়, দর্শককে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখা সেই মেয়েটিই ফ্যাশন ছবিতে নেতিবাচক চরিত্রে নেশাতুর আবেশে মেতে থেকে ধাঁধিয়ে দিয়েছিলেন দর্শকদের মন।

২০০৮ সালের ফ্যাশন ছবিতে অভিনয় করে তিনি সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। গত সাত বছরের ফিল্মি ক্যারিয়ারে গ্যাংস্টার, ও লামহে, লাইফ ইন এ মেট্রো, ফ্যাশন, তানু ওয়েডস মানু, ওয়ানস আপন এ টাইম ইন মুম্বাই, শুটআউট অ্যাট ওয়াডালার মতো আলোচিত ও উল্লেখযোগ্য ছবিতে অভিনয় করে অভিনেত্রী হিসেবে নিজের মেধা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন কঙ্গনা।

পরের বছর ২০০৯ সালের রাজ টু, ২০১১ সালের ওয়ান্স আপন এক টাইম ইন মুম্বাই, ডাবল ধামাল এবং ২০১৩ সালে সবশেষ কৃষ থ্রি ছবিগুলো কঙ্গনার সাফল্যের পলকে যুক্ত করেছে নতুন নতুন মাত্রা। গত দীপাবলিতে মুক্তি পাওয়া কৃষ থ্রি এখনও সিনেমা হল গুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

কঙ্গনার ফ্লপ ছবিগুলোর তালিকাও নেহাত কম নয়। তেজ, মিলে না মিলে হাম, নকআউট, নো প্রবলেম ছবিগুলো ফ্লপ।

0 comments:

Post a Comment