সচিব রাজিয়া বেগম ৩০ নভেম্বর ১৯৫৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ী কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে বি.এ অনার্স ও এম এ পাস করেন। তিনি বিসিএস ৮২ (নিয়মিত) ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। এই বছর জানুয়ারী মাসে তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেনে। মারা যাওয়ার সময় তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, রাজিয়া বেগম ছিলেন একজন দক্ষ, মেধাবী ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। তিনি বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়া এবং নারী ও শিশুর উন্নয়নে তিনি একনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে সরকার একজন প্রতিভাবান কর্মকর্তাকে হারালো। বিশেষ করে একজন মহিলা কর্মকর্তা হিসেবে রাজিয়া বেগম তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব সফলতার সাথে বাস্তবায়ন করেছেন।
৩১ জুলাই শনিবার। সকাল ৭টা। ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার পথে মানিকগঞ্জের শিবলয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রাজিয়া বেগম (এনডিসি)। রাজিয়া বেগমের স্বামী নজরুল ইসলাম খান বলেন, কত স্বপ্ন ছিল ওর! ছেলে ব্যারিষ্টার হবে আর মেয়ে ডাক্তার। মেয়ে চৈতি মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী; আর ছেলে তৌফিকুল ইসলাম খান চয়ন,এল এল বি’র ছাত্র। তার স্বপ্নের মতই সব ঠিকঠাক আছে। কেবল সে আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল। নজরুল ইসলাম আরো বলেন, সে রাতে আমি ও রাজিয়া একটুও ঘুমাতে পারিনি। এ পাশ ওপাশ করে সারা রাত কেটে যায় আমাদের। ভোর বেলা রাজিয়াকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশ্যে তুলে দিয়ে আমি ঘুমানোর চেষ্টা করি। অন্যদিন গেট পর্যন্ত বিদায় দিয়ে আসি; কিন্তু সেদিন শুধু আল্লাহ হাফেজ বলে ঘুমিয়ে পড়ি। তারপর সকালেই জানতে পারি রাজিয়া আমাদের ছেড়ে চির বিদায় নিয়ে চলে গেছে। রাজিয়া বেগম প্রধানমন্ত্রীর গোপালগঞ্জের ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্পের উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্যে গোপালগঞ্জে যাচ্ছিলেন ।
ছবি
রাজিয়া বেগম
Info Post
0 comments:
Post a Comment
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.