শুরুর দিকে সিনেমা বা চলচ্চিত্র ছিল নির্বাক অর্থাৎ তাতে কোনো সংলাপ ছিল না। আর এই নির্বাক চলচ্চিত্রের যুগেই শুধু নিজের অভিনয় প্রতিভা দিয়ে বিশ্ববাসীর মন জয় করেছিলেন তিনি। খ্যাতি পেয়েছেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অভিনেতাদের একজন হিসেবে। তাঁর নাম স্যার চার্লস স্পেনসার চ্যাপলিন জুনিয়র, যাকে চার্লি চ্যাপলিন নামেই সবাই চেনেন। মাথায় হ্যাট, পরনে স্যুট, হাতে ছড়ি এবং নাকের নিচে অল্প একটু গোফের অধিকারী এই অভিনেতা বিশ্বের সব প্রান্তের সিনেমাপ্রেমীদের কাছে সমান পরিচিত। ব্রিটিশ এই চলচ্চিত্র অভিনেতার জন্ম ১৮৮৯ সালের ১৬ এপ্রিল। চার্লি চ্যাপলিনের শৈশব কেটেছে চরম দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে। দারিদ্র্যের কারণেই খুব ছোটবেলায় তিনি অভিনয়ে যুক্ত হন। যেহেতু তাঁর মা-বাবা মঞ্চ অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাই মঞ্চে অভিনয়ের মাধ্যমেই তিনি অভিনয় জীবন শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি হলিউড সিনেমার শ্রেষ্ঠতম কৌতুকাভিনেতা ও পরিচালক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। চ্যাপলিন নিজের ছবিতে নিজেই অভিনয়, সংলাপ রচনা, পরিচালনা, প্রযোজনা এমনকি সংগীত পরিচালনা পর্যন্ত করেছেন। চ্যাপলিনের বিখ্যাত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো : মডার্ন টাইমস, দ্য কিড, ওমেন অব প্যারিস, দ্য গ্রেট ডিরেক্টর, সিটি লাইটস ও দ্য সার্কাস। বিখ্যাত এই চলচ্চিত্রকার ১৯৭৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর মারা যান।
গ্রন্থনা : তৈমুর ফারুক তুষার
চার্লি চ্যাপলিন
Info Post
0 comments:
Post a Comment