কুয়েন মুছুন হচ্ছেন চীনের বিখ্যাত মন্দ্রস্বরের গায়িকা। তিনি ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে চীনের কেন্দ্রীয় সঙ্গীত ইন্সটিটিউট থেকে স্নাতক হওয়ার পর থিয়েনচিন নানখাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারস ডিগ্রি কোর্সে শিক্ষার্থী হন। বর্তমানে তিনি থিয়েনচিন নাচগান থিয়েটারের একক গায়িকা। কুয়েন মুছুনের গাওয়া গান শিল্পের আকর্ষণ শক্তিতে ভরপুর। কুয়েন মুছুন বরাবরই চীনের লোক সঙ্গীত ভিত্তিক গান করেন। তিনি পশ্চিমা সংগীতের উত্কৃষ্টতা গ্রহণ করে চীনা শৈলীর সঙ্গীতের মধ্যে মিশিয়েছেন। তাঁর কন্ঠ খুব ভাল।গত শতাব্দীর ৮০'র দশকে কুয়েন মুছুন চীনে বহুবার একক কন্সার্ট আয়োজন করেন এবং অনেক চলচ্চিত্র ও টিভি নাটকের জন্যে গান গেয়েছেন। তা ছাড়া, তিনি বৃটেন, জাপান, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশ ও অঞ্চল সফর করেন। তার গাওয়া দেশী বিদেশী গানগুলো অনেক শ্রোতাবন্ধুদের সমাদর ও প্রশংসা পেয়েছে।
তার গাওয়া রুশ লোকসঙ্গীত "তৃণভূমি", যুগোস্লাভিয়ার একটি লোকসঙ্গীত "সুগভীর সমুদ্র", ইন্দোনেশীয় লোকসঙ্গীত "তারা" (এই ইন্দোনেশীয় লোকসঙ্গীতে প্রিয়তমার প্রতি প্রেমিকের গভীর অনুরাগ বর্ণনা করা হয়। গানে বলা হয়েছে: আমার পালে বাতাস বয়ে যায়, আমার নৌকা অনুকূল বাতাসে চলছে।
রূপসী আমি তোমার সাথে দেখা করতে চাই,
তোমাকে আমার মনের কথা বলবো।)
মায়ানমারের লোকসঙ্গীত "গাঙচিল" (ইরাবতি নদী হচ্ছে মায়ানমারের প্রধান নদী। সূর্য ডুবে যাওয়ার সময় অনেক গাঙচিল নদীর ওপর দিয়ে স্বচ্ছন্দে পাখা মেলে উড়ে যায়। "গাঙচিল" নামক গানটিতে আবেগপূর্ণ সুরের মাধ্যমে ইরাবতি নদীর মনোহর দৃশ্য বর্ণনা করা হয় এবং স্বাধীনতার প্রতি মায়নমারের জনগণের প্রতীক্ষা ও জন্মভূমির প্রতি তাদের ভালবাসা প্রকাশ পায়।)
মেক্সিকোর লোকসঙ্গীত "নানা রঙ" (গানটি খুব আনন্দদায়ক ও শ্রুতিমধুর। বসন্তের প্রশংসা প্রকাশ পায় গানটিতে। গানে বলা হয়েছে:
জমি বসন্তের কাপড় পরে,
রঙবরঙের রংধনু ঝিলমিল করছে,
এত বৈচিত্র, এত সুন্দর দৃশ্য, আমরা কি দেখতে যাবো না?)
তাঁর উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় লোকগীতি।
0 comments:
Post a Comment