Breaking News
Loading...
Friday, July 9, 2010

হলিউড কাঁপানো অভিনেত্রীর অড্রে হেপবার্ন জন্ম বেলজিয়ামের ইক্সিলেসে। ১৯২৯ সালের ৪ মে। মূল নাম এন্ড্রি ক্যাথেলিন রুস্তান। ছদ্মনাম এডডা বান হেমেত্রা। বাবা ইংলিশ ব্যাংকার জোসেফ ভিক্টর এন্তোনি রোস্তনের একমাত্র কন্যা ছিলেন তিনি। মা ইলা ভ্যান হেমেস্ত্রা। ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত তিনি পড়েছেন ইংল্যান্ডের মিস রিগান স্কুলে।

শৈশব কেটেছে হল্যান্ডে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি জার্মানিতে ছিলেন। জার্মান সীমান্তের অর্নহেমেও থেকেছেন কিছুদিন। তখন পরিচয় সানিয়া গ্যাসকেলের সঙ্গে। তার প্রেরণায়ই ক্যারিয়ারের শুরু হয়েছিল ফটোগ্রাফির মডেলিং দিয়ে। অর্নহেমে থাকা অবস্থায় সানিয়ার পরিচালনায় তিনি ভ্রমণভিত্তিক একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান। কেএলএম নামের ওই চলচ্চিত্রের পর ১৯৪৮ সালে লন্ডনে চলে আসেন। তখন নেদারল্যান্ডস ইন সেভেন লেসনে এয়ারলাইন্সের এয়ারহোস্টেস চরিত্র দিয়ে তার চলচ্চিত্র জীবনের অভিষেক।

এরপর ১৯৫১ সালে অন উইল্ড ওট। ব্রডগে প্লে গিগি। তার অভিনীত সেরা চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে_ লুথার ইন প্যারাডাইজ, মনেটো কাররো ব্যাবি, ইয়ং উইভস, রোমান হলিডে, সাবরিনা, ওয়ার এন্ড পিস, ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিপ্পানি, ওয়েট আনটিল ডার্ক, রবিন এন্ড মারলিন, গ্রেগরি পিক, রেঙ্ হেরিসন, হামফ্রি বোগার্ড, গেরি কপার, কেরি গ্রান্ড, হেনরি ফন্ডা, উইলিয়াম হোলডেন, ফ্রেড এসটেয়ার, পিটার ও টলি, আলবার্ট ফিনি্ন, ক্যারাডি, লাভ ইন দি আফটারনুন, দি নানস স্টোরিসহ কয়েকডজন পৃথিবীখ্যাত চলচ্চিত্র। ১৯৩৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তার পিতা হেপবার্নের মাকে ডিভোর্স দিলে অনেকটা অন্ধকার নেমে আসে তার জীবনে। ১৯৫৪ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি আমেরিকান চলচ্চিত্র অভিনেতা মেল ফেররকে বিয়ে করেন। এ বিয়ে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১৯৬৭ সালে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটলে তিনি ইটালিয়ান চিকিৎসক রবার্ট ওলডার্সকে বিয়ে করেন। ওলডার্সের ঘরে তার দুটো সন্তানও রয়েছে।

১৯৬৪ সালে মাই ফেয়ার লেডি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি উপার্জন করেছিলেন ১ লাখ পাউন্ড। তার অভিনীত শেষ চলচ্চিত্র ১৯৮৯ সালের স্টিভেন স্পিলবার্গস অলোয়েজ। সেরা অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন বহু পুরস্কার।

পুরস্কারের তালিকায় রয়েছে_ দি গ্রেড মুভি রাইড, রোমান হলিডের জন্য একাডেমী অ্যাওয়ার্ড, গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড, টনি অ্যাওয়ার্ড, গ্রামি অ্যাওয়ার্ড এবং অ্যামি অ্যাওয়ার্ড। ইউনিসেফের প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন তিনি। ১৯৯৯ সালে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট তাকে তৃতীয় মহান চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে আখ্যায়িত করে। জীবনের শেষ বয়সে কিছুদিন কাজ করেছেন ইউনিসেপের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে। মানবাধিকার কর্মী হিসেবেও ছিল তার পরিচিতি। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯২ তিনি আফ্রিকার দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চলে কাজ করেছেন।

২০১০ সালে প্রকাশিত হলো এ শতাব্দীর সবচেয়ে আবেদনময়ী সুন্দরীদের তালিকা। আর বিংশ শতাব্দীর সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হয়েছেন অড্রে হেপবার্ন। হালের হলিউড সুন্দরী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, হ্যালিবেরি ও স্কারলেট জোহানসনের মতো অপরূপাদের পেছনে ফেলে দিলেন তিনি। ঘন বাদামি চুল আর সুঠাম শারীরিক কাঠামোর অধিকারী ছিলেন অড্রে হেপবার্ন। তাই তো, চিরসবুজ ফ্যাশন আইকনে পরিণত হয়েছিলেন তিনি! দ্য ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফানিস ছবির এ তারকা অভিনেত্রী সুন্দরীদের রাজ্যে নতুন ফ্যাশন ধারার প্রচলন ঘটিয়েছিলেন। ক্যান্সারের কাছে পরাজিত হেপবার্ন ১৯৯৩ সালে ৬৩ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও এ সময়ের সামনের সারির সুন্দরীরা সহজেই পরাজিত হন তার কাছে। ২০ হাজার নারীর ভোটে এই প্রতিযোগিতায় ব্রিটিশ পপতারকা শেরিল কোল দ্বিতীয় হন। আরেক কালজয়ী সুন্দরী মেরিলিন মনরোর অবস্থান তৃতীয়। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি চতুর্থ এবং চলি্লশের দশকের তারকা গ্রেস কেলি পঞ্চম স্থান দখল করেন। স্কারলেট জোহানসন ও হ্যালিবেরি যথাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম সুন্দরী নির্বাচিত হন। এই সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়েননি প্রিন্সেস ডায়ানাও। তিনি হন অষ্টম এবং মডেল কেলি ব্রুক ও জেনিফার অ্যানিস্টন হয়েছেন নবম ও দশম সুন্দরী।

0 comments:

Post a Comment