Breaking News
Loading...
Friday, July 9, 2010

হয়তো নামের প্রভাব পড়েছিলো তাঁর আচরণে। ছোটোবেলা থেকেই তিনি ছিলেন কল্পনা-বিলাসী। স্বপ্ন দেখতেন সমৃদ্ধ সমাজের। ভাবতেন পথ যতোই বন্ধুর হোক না কেনো, তা মাড়িয়ে যেতে হবে, তবেই দেখা মিলবে সোনালী ভোরের। বাবা বিনোদবিহারী দত্ত ও মা শোভনা বালা দত্তের কোল আলো করে আসেন কল্পনা দত্ত (যোশী)। চট্টগ্রাম জেলার শ্রীপুর গ্রামে ১৯১৩ সালের ২৭ জুলাই জš§গ্রহণ করেন এই সংগ্রামী নারী। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের পাশাপাশি তাঁর ছিলো সক্রিয় অংশগ্রহণ। ১৯২৯ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে ম্যাট্রিক পাশ করেন কল্পনা। তখনই ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে পড়েন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে। ডিনামাইট তৈরিতেও তিনি পালন করেন বিশেষ ভূমিকা। সূর্যসেন, নির্মলসেনদের বিভিন্ন দুঃসাহসিক অভিযানের সহযাত্রী ছিলেন কল্পনা দত্ত। এসব কাজের জন্য বিভিন্ন সময় তাঁকে ছদ্মবেশ ধারণ করতে হতো। চট্টগ্রামকে ‘মিলিটারি এরিয়া’ ঘোষণা করা হলে বিপ্লবীদের উপর অত্যাচার বৃদ্ধি পায়। ১৯৩৩ সালের ১৯ মে ভোরে মিলিটারিদের সঙ্গে বিপ্লবীদের মুখোমুখি সংঘর্ষের এক পর্যায়ে কল্পনা দত্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিচারে রাজদ্রোহ, ষড়যন্ত্র, বিষ্ফোরক ও অস্ত্র আইনের অভিযোগে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দøিত করা হয়। প্রায় ছয় বছর কারাবাসের পর ১৯৩৯ সালের মে মাসে তিনি মুক্তি পান। স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন ১৯৪০ সালে। সেই পশ্চাৎপদ যুগের হয়েও কল্পনা দত্ত অনুভব করেছিলেন, নারী সমাজেরই অর্ধ-অঙ্গ। নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রয়াসেই কাটবে অমানিশা, আসবে মুক্তি।
কল্পনা দত্ত ১৯৯৫ সালের দিল্লিতে মৃত্যু বরণ করেন।

0 comments:

Post a Comment