Breaking News
Loading...
Friday, August 27, 2010

ব্রিটিশ-ভারতীয় ঔপন্যাসিক ও লেখক সালমান রুশদির জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৯ জুন, মুম্বাই শহরে। তাঁর বাবা আনিস আহমেদ রুশদি ছিলেন আইনজীবী ও ব্যবসায়ী। আর মা নেগিন বাট ছিলেন শিক্ষক। রুশদি তাঁদের একমাত্র সন্তান।
ছোটবেলায় রুশদি পড়াশোনা করেন মুম্বাইয়ের ক্যাথিড্রাল অ্যান্ড জন ক্যানন স্কুল আর রাগবি স্কুলে। পরে ক্যামব্রিজের কিংস কলেজে ইতিহাস পড়েন। পুরোপুরি লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশের আগে তিনি দুটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করেন। তাঁর প্রথম বই গ্রিমাস (১৯৭৫) ছিল অংশত বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি। পাঠক ও সমালোচকেরা বইটি উপেক্ষা করেন; তবে পরবর্তী উপন্যাস মিডনাইট চিলড্রেন প্রকাশিত হলে তিনি সব মহলের প্রশংসালাভে সক্ষম হন। ১৯৮১ সালে প্রকাশিত ওই বই বুকার পুরস্কার পায়। ১৯৮৮ সালে তাঁর দ্য স্যাটানিক ভার্সেস প্রকাশিত হলে মুসলমানদের পক্ষ থেকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। আয়াতুল্লাহ খোমেনি তাঁকে হত্যার ফতোয়া জারি করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য অন্যান্য বই হচ্ছে: শেম (১৯৮৩), দ্য জাগুয়ার স্মাইল: অ্যা নিকারাগুয়ান জার্নি (১৯৮৭), হারুন অ্যান্ড দ্য সি অব স্টোরিজ (১৯৯০), ইমাজিনারি হোমল্যান্ডস (১৯৯২), মুর্স লাস্ট সাই (১৯৯৫), শালিমার দ্য ক্লাউন (২০০৫) এবং লুকা অ্যান্ড দ্য ফায়ার অব লাইফ (২০১০)।
সালমান রুশদির ওপর গুন্টার গ্রাস, মার্কেস, ইটালো কালভিনো, নবোকভ, জেমস জয়েস, বোর্হেস, কাফকা আর মিখাইল বুলগাকভের প্রভাব আছে। তাঁর রচনাকর্মে জাদুবাস্তবতা ও হাস্যরসের প্রবল উপস্থিতি। তিনি উত্তর-উপনিবেশবাদী লেখক।
বুকার ছাড়াও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন রুশদি। ২০০৭ সালের ১৬ জুন ইংল্যান্ডের রানির জন্মদিনে তিনি পান নাইটহুড খেতাব। তাঁর লেখায় অনুপ্রাণিত ও প্রভাবিত হয়েছেন জেডি স্মিথ, হোমি কে ভাবা, তসলিমা নাসরিন আর ক্রিস্টোফার হিটচেনস। মিডনাইট চিলড্রেন উপন্যাস অবলম্বনে দীপা মেহতা তৈরি করছেন তাঁর নতুন চলচ্চিত্র, যেখানে সীমা বিশ্বাস, শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস আর ইরফান খান অভিনয় করবেন। লেখক না হলে কী হতেন? এ প্রশ্নের জবাবে রুশদি বলেছেন, অভিনেতা।
ঘটনাবহুল ব্যক্তিগত জীবনের অধিকারী সালমান রুশদি চারবার বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রীরা ছিলেন: ক্লারিসা লুয়ার্ড, ম্যারিয়ান উইগিনস, এলিজাবেথ ওয়েস্ট ও পদ্মালক্ষ্মী। তাঁদের কারও সঙ্গেই এখন আর তাঁর সম্পর্ক নেই।
সালমান রুশদি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির মানবিক বিভাগের অনারারি প্রফেসর ও রয়্যাল সোসাইটি অব লিটারেচারের ফেলো ছিলেন। ২৪টিরও বেশি ভাষায় তাঁর লেখা অনূদিত হয়েছে।

1 comments: