বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ সন্তান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর মধুমতি নদী তীরের প্রত্যন্ত পাড়াগাঁ টুঙ্গিপাড়ায় শেখ হাসিনার জন্ম। পিতা শেখ মুজিবুর রহমান, মাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার প্রথম সন্তান। তাঁর ডাক নাম হাসু। দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদি সাহেরা খাতুনের অতি আদরের নাতনি হাসু। শৈশব-কৈশোর কেটেছে দাদা-দাদির কোলে-পিঠে মধুমতি নদীর তীরে টুঙ্গিপাড়ায়। তাঁরা পাঁচ ভাই-বোন। কনিষ্ঠদের মধ্যে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেল।
এদের মধ্যে শেখ হাসিনা এবং রেহানা ছাড়া কেউ জীবিত নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেই কালোরাতে পিতা বঙ্গবন্ধু এবং মাতা ফজিলাতুন্নেছাসহ সবাই ঘাতকদের হাতে নিহত হন।
পিতাকে খুব একটা কাছে না পেলেও শৈশব-কৈশোর আনন্দেই কেটেছে শেখ হাসিনার। গ্রামবাংলার ধুলোমাটি আর সাধারণ মানুষের সাথেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। গ্রামের সাথে তাই তাঁর নাড়ির টান অনিবার্যভাবে উঠে এসেছে বারবার।
শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু হয় টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে পরিবারকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। তখন পুরনো ঢাকার রজনী বোস লেনে ভাড়ার বাসায় তাঁরা উঠেন।
বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য হলে সপরিবারে ৩ নম্বর মিন্টু রোডের বাসায় তারা বসবাস শুরু করেন। শেখ হাসিনাকে ঢাকা শহরে টিকাটুলির নারী শিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। শুরু হয় তাঁর শহর বাসের পালা তথা নাগরিক জীবন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। ওই বছরেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
শেখ হাসিনা ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজে পড়ার সময় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য এবং রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে তিনি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন এবং ৬-দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু উত্থাপিত ৬-দফা দাবিতে পূর্ববাংলায় এক অভূতপূর্ব জাতীয় জাগরণ সৃষ্টি হয়। শাসক গোষ্ঠী ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে। শুরু হয় প্রচণ্ড দমন-নির্যাতন। আটক থাকা অবস্থাতেই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী দায়ের করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। তাঁর জীবন ও পরিবারের ওপর নেমে আসে গভীর বিপদাশংকা ও দুঃসহ কষ্ট।
এই ঝোড়ো দিনগুলোতেই বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে ১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সাথে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের করাচিতে নিয়ে যাওয়ার পর গোটা পরিবারকে ঢাকায় ভিন্ন এক বাড়িতে গৃহবন্দী করে রাখা হয়।
অবরুদ্ধ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই শেখ হাসিনা গৃহবন্দী অবস্থায় তাঁর প্রথম সন্তান ‘জয়’ এর মা হন। ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর কন্যা সন্তান পুতুলের জন্ম হয়।
১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হবার আগে ছোটবোন শেখ রেহানাসহ শেখ হাসিনা ইউরোপ যান। বেলজিয়ামের রাজধানী হেগ-এ অবস্থানকালে তিনি বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হবার খবর পান। তাৎক্ষণিকভাবে দেশে ফেরার কোন পরিবেশ না থাকায় তিনি ইউরোপ ছেড়ে স্বামী-সন্তানসহ ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন।
শেখ হাসিনার পরবর্তী ইতিহাস একবিংশ শতকের অভিযাত্রায় তিনি কিভাবে বাঙালি জাতির কাণ্ডারি হয়েছেন তার ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন সেই স্বপ্ন রূপায়নের দায়িত্ব নিয়ে বাঙালি জাতির আলোর দিশারী হওয়ার ইতিহাস।
মাতৃভূমির ডাকে ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন : ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের রক্তাক্ত ঘটনাবলীর পর তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর দেশে ফেরার কোন পরিবেশ ছিল না। বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ তখন ছিল অলিখিত নিষিদ্ধ। সামরিক সরকার বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসুক, তা চায়নি। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁর হাতে গড়া আওয়ামী লীগেও চলছিল নেতৃত্বের শূন্যতা।
এমনি এক দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের তৎকালীন নেতৃবর্গ সর্বসম্মতিভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে এসে দলের দায়িত্বভার গ্রহণের অনুরোধ জানান। ১৯৮১ সালের ১৩-১৫ ফেব্র“য়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তাঁকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। আর ঐ বছরেরই ১৭ মে দীর্ঘ ৬ বছরের প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা।
সংগ্রাম শুরু : শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলে সমগ্র দেশব্যাপী শুরু হলো প্রবল আলোড়ন। বদলে গেল দৃশ্যপট। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর দলীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর তাঁকে অভিনব সব পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে তাঁর শুরু হয় আপোষহীন লড়াই সংগ্রাম।
১৯৮৬ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি তিনটি আসন থেকে নির্বাচিত হন। তিনি পঞ্চম জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯০ সালের ঐতিহাসিক গণ-আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং সংবিধানের ৫১ এবং ৫৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের ফর্মূলা ঘোঘণা করেন।
১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনের পর তিনি পঞ্চম জাতীয় সংসদে বিরোধীদলের নেতা নির্বাচিত হন। তিান সকল দলকে সাথে নিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা পরিবর্তন করে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেন। তখন বাধ্য হয়ে তৎকালীন সরকার সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী পাসের মাধ্যমে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার প্রতিষ্ঠায় বাধ্য হয়।
ওই সময়ই শেখ হাসিনা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি প্রবর্তনে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও আন্দোলন গড়ে তোলেন। ১৯৯৬ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যদিয়ে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করতে সরকারকে বাধ্য করা হয়।
১৯৯৬ সালের ১২ জুন সংসদ নির্বাচনের সময় শেখ হাসিনার ডাকে সর্বস্তরের জনগণ ‘জনতার মঞ্চ’ আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে। ওই নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে সরকার গঠন করে এবং শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
প্রথমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করে শেখ হাসিনা দারিদ্র্য বিমোচনসহ জাতীয় উন্নয়নে বিভিন্ন বাস্তবমুখী নীতি বাস্তবায়ন করেন। ১৯৯৬-২০০১ সালের মেয়াদে সরকারের দায়িত্ব পালনকালে ভারতের সাথে ৩০ বছর মেয়াদী ঐতিহাসিক গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর ও শান্তি বাহিনীর অস্ত্র সমর্পণ এবং যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতুর উদ্বোধনসহ উন্নয়নমূলক বিপুল কাজে সাফল্য অর্জন করেন।
এরপর ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি সপ্তম জাতীয় সংসদে বিরোধীদলের নেতা নির্বাচিত হন। সে সময় থেকে তিনি তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুম, সীমাহীন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও যেনতেনভাবে একটি কারচুপির নির্বাচন করে পুনরায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্র ও জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের মদদ দেয়ার প্রতিবাদে দেশব্যাপী ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ পদত্যাগে বাধ্য হন।
এক পর্যায়ে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির সৃষ্টি হয়। ওই সময়ই ড. ফখরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে পুনরায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় এবং দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
জরুরি অবস্থাকালে শেখ হাসিনাকে বিদেশ যেতে বাধ্য এবং বিদেশ থেকে দেশে ফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। অবশ্য বাঙালি জাতির দৃঢ়চেতা এই নেতা দেশ ও জনগণের জন্য নিজ দেশে ফেরার সিদ্ধান্তে অটল ও দৃঢ় মনোভাব প্রদর্শন করেন। শেষ পর্যন্ত জরুরি অবস্থাকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ মহান নেতাকে দেশে ফিরে আসার অনুমতি দিতে বাধ্য হয়।
ওই সময় তাঁকে বিনা কারণে বেশ কয়েক মাস কারাগারে থাকতে হয়েছে। তাঁর দৃঢ় অবস্থানের কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হন।
জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার একাধিক ষড়যন্ত্র হয়েছে দেশে। গোপালগঞ্জে একটি ভারি বিস্ফোরক পাতা হয়েছিল তাকে মেরে ফেলার জন্য। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেও ওই হামলায় ২৪ জন নিহত ও ৫শ’ নেতা-কর্মী আহত হন।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন নিয়ে বিশাল বিজয় অর্জন করে। এই বিজয়ের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
দিন বদলের সনদ বাস্তবায়ন করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও সুখি-সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে শেখ হাসিনা বর্তমানে জাতিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তিনি তাঁর নেতৃত্বে ২০২১ সাল নাগাদ একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ গড়তে ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলছেন।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি : রাষ্ট্র পরিচালনায় তাঁর এই দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং সাফল্যের জন্য কেবল দেশবাসী নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তিনি অর্জন করেছেন এক অভূত পূর্ব মর্যাদার আসন। অতি সম্প্রতি বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের তালিকায় বিশ্বের সেরা ১০ নারী নেত্রীর মধ্যে শেখ হাসিনা ৬ষ্ঠ স্থান দখল করে বাংলাদেশের জন্য দুর্লভ সম্মান বয়ে এনেছেন।
এর আগে বিশ্বখাদ্য সংস্থায় (এফএও) সেরেস পদক, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি স্থাপনে অনন্য ভূমিকার জন্য ইউনেস্কোর কাল এস বাক পদক, মাদার তেরেসা পদক, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস স্মৃতি পদক, আন্তর্জাতিক লায়ন্স ক্লাব এসোসিয়েশনের সম্মাননা পদক, আন্তর্জাতিক লায়ন্স ক্লাব এসোসিয়েশন কর্তৃক ১৯৯৬ ও ১৯৯৮ সালে রাষ্ট্র প্রধান পদক এবং আন্তর্জাতিক রোটারী ফাউন্ডেশনের পল হ্যারিস ফেলোশিপসহ বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পদকে তিনি ভূষিত হন।
এছাড়াও গণতন্ত্র উন্নয়ন, মানবাধিকার ও শান্তি ও সম্প্রতি প্রতিষ্ঠা এবং সৃজনশীল লেখনীয় জন্য বিশ্বের প্রায় বারোটির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডি-লিট উপাধীতে ভূষিত করা হয়।
সাহিত্য কর্ম : বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে শত ব্যস্ততার মধ্যেও সাহিত্য চর্চা ও সৃজনশীল লেখায় মনোনিবেশ করেন।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে, ওরা টোকাই কেন, বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম, সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র, দারিদ্র দূরীকরণ, কিছু চিন্তা-ভাবনা, বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নয়ন, আমার স্বপ্ন আমার সংগ্রাম, সহেনা মানবতার অবমাননা, বিপন্ন গণতন্ত্র লাঞ্ছিত মানবতা ইত্যাদি।
মৃত্যুঞ্জয়ী হাসিনা : তিনি নিজেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা- এই একটি মাত্র পরিচয়ে গর্বিত ও সন্তুষ্ট মনে করলেও তাঁর নিরবচ্ছিন্ন গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রাম ও সাধনায় ভেতর দিয়ে তিনি তাঁর এই পরিচয়কে অতিক্রম করে দেশ-বিদেশ অর্জন করেছেন নিজস্ব পরিচিতি। এখন তাঁর নিজের পরিচয়েই তিনি বাঙালি জাতির অবিসংবিদিত নেতা।
॥ কানাই চক্রবর্তী ॥
0 comments:
Post a Comment