Breaking News
Loading...
Tuesday, October 19, 2010

অভিনেত্রী তমা মির্জ্জার জন্ম ১ জুন বাগেরহাটের সায়রা গ্রামে। মা ফাতেমা বেগম হচ্ছেন তার প্রেরণার মূল উৎস। মায়ের কারণেই তার এ পর্যায়ে আসা। মাকে তাই বন্ধু বলেই জানেন। অবসরে মায়ের সঙ্গে বসে পুরনো দিনের ছবি দেখতে পছন্দ করেন। দ্বীপ জ্বেলে যাই ছবিতে সুচিত্রা সেনের অভিনয় তার খুবই ভাল লাগে। নাচের ক্ষেত্রে মাধুরী দীক্ষিতকে অনুসরণ করেন, আর ঐশ্বরিয়ার কথা বলার স্টাইল, চলন-বলন সবকিছুকে ভালবাসেন। তবে শাবনূরের অভিনয়, স্টাইল সবকিছুকেই তিনি অনুসরণ করেন ছোটবেলা থেকেই। তিনি মনে করেন শাবনূরই বাংলাদেশের একমাত্র অভিনেত্রী যিনি শত বিপদের সম্মুখীন হয়েও ধৈর্যহারা হননি। বরং নিজের অবস্থানকে টিকিয়ে রেখেছেন তার যোগ্যতা বলে। শাবনূরের হাসি, তার কথা বলার ধরন, চুলের স্টাইল_ সবই যেন আকৃষ্ট করে তমাকে।

মিথুনরাশির জাতিকা তমারপুরো নাম মির্জ্জা ফারজানা ইয়াসমিন তমা। তবে বাবা মির্জ্জা আবু জাফর ছিলেন গানের প্রতি প্রচ- আগ্রহী। এ কারণে বাগেরহাটের আদর্শ স্কুল একাডেমিতে পড়ার সময় পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত গান শিখেছে। কিন্তু নাচের প্রতি তমার আগ্রহ দেখে তার মা নৃত্যশিল্পী কোহিনুর আক্তারের কাছে নাচ শিখতে দেন। বর্তমানে ওস্তাদ আনিসুল ইসলাম হিরুর কাছে ভারত নাট্যম শিখছেন। নাচই হচ্ছে তার প্রথম ভালবাসা। তার মতে, নাচের পারদর্শিতার কারণেই তিনি চলচ্চিত্রের মতো এত বড় একটা জায়গায় স্থান পেয়েছেন। কারণ নৃত্যাঞ্চল আয়োজিত নাচের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ঢাকা আসতেন। সেখানে তমার সবচেয়ে বেশি উৎসাহদানকারী নৃত্যশিল্পী ওস্তাদ মরহুম শরীফুল ইসলামের মাধ্যমে নৃত্য পরিচালক আলমের সঙ্গে পরিচয় হয়। তারই মাধ্যমে যুগল পরিচালক শাহিন-সুমনের একজন সুমনের সঙ্গে পরিচয় হয়। সে সময় তিনি তার ছবিতে অভিনয়ের জন্য বললেও এসএসসি পরীক্ষার কারণে তমা সে অফার রাখতে পারেননি। পরবর্তীতে পরীক্ষা শেষ হলেই ফোন দেন পরিচালক সুমনকে। তিনি যোগাযোগ করিয়ে দেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খোরশেদের সঙ্গে। তারই প্রযোজনায় ও এমবি মানিকের পরিচালনায় তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না ছবিতে অভিনয়ের জন্য বলেন। তমা চলে আসেন ঢাকায়। তারপর একে একে পাঁচটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হন। এত অল্প সময়ে এতগুলো ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। কি ছিল এই সাফল্যের মূলে? এ কথার উত্তরে হাসতে হাসতে তমা বলেন, সর্বপ্রথম আমি আল্লাহকে স্মরণ করি। কারণ তার কৃপা না থাকলে আমি কখনই এতদূর আসতে পারতাম না। এছাড়া চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সবার আগে প্রয়োজন শারীরিক সৌন্দর্য, আমার মনে হয় আল্লাহ আমাকে তা দিয়েছেন। এছাড়া আমি ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতা সম্পন্ন। আর আমি মনে করি অভিনয়ে আসতে হলে নাচ জানাটা অনেক জরুরি। কারণ অভিনয় ও নাচ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমি খুলনা বিভাগ থেকে জাতীয় নাচ প্রতিযোগিতায় পর পর তিনবার বিজয়ী হয়েছি। এসবের যৌথ প্রয়াসেই হয়তো আমার আজকের এ সফলতা। আমার সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে সবচেয়ে ছোট অভিনেত্রী হয়েও ইলিয়াস কাঞ্চনের মতো একজন অভিনেতার সঙ্গে মঞ্চে নৃত্য পরিবেশন করেছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।

তমা অবসর সময়ে নিজে যেমন গান গাইতে ভালবাসে তেমনি মান্না দের গাওয়া তুমি কি সেই আগের মতো আছো ... গানটি শুনতেও ভালবাসেন। আপেল ও আইসক্রিম তার প্রিয় খাবার। খুলনা থেকে চলে এলেও বাগেরহাটের ষাট গম্ভুজ মসজিদ ও খানজাহান আলী (রা.)-এর মাজার তার প্রিয় স্থান। এছাড়া কক্সবাজারে ঘুরতে যেতেও তার খুব ভাল লাগে। আর সাগরের পাড়ে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখতে।

তমার অন্য ছবিগুলো হচ্ছে শফিকুল ইসলাম সোহেলের তোমার মাঝে আমি। ছবিটির একটি গানের শুটিং ছাড়া বাকি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া গাজী মাহবুবের রাজা সূর্য খাঁ, এমএ রহিমের সুন্দরী গুলবাহার এবং জি সরকারের রিকশাওয়ালারাও মানুষ। প্রথম চার ছবিতেই তমার নায়ক নিরব।

0 comments:

Post a Comment