Breaking News
Loading...
Saturday, October 30, 2010

১৫০৩ সালের জুলাই মাসে ফ্রান্সে মাইকেল নস্টারডেমাস নামে এক বিখ্যাত চিকিৎসক, জ্যোতিষী ও ভবিষ্যদ্বক্তা জন্মগ্রহণ করেন। তার ভবিষ্যদ্বাণী যুগ যুগ ধরে জনগণের কাছে আকর্ষণীয় ও পছন্দনীয় হয়ে আসছে। তার পিতা জ্যাকুইস ছিলেন একজন সরকারি লিপি লেখক। মাতা ছিলেন গৃহিণী। তিনি ছিলেন ঈশ্বর প্রদত্ত জ্ঞানে গুণীন ব্যক্তি। যুবক বয়স থেকেই ভবিষ্যদ্বাণী করে সফল হন নস্টারডেমাস। দাদা জন ডিয়েমির আশা ছিল মাইকেল চিকিৎসক হবেন ও মানুষের সেবা করবেন। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগেই মাইকেল ইতিহাস, চিকিৎসাবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা ও হারবাল বিদ্যায় প্রচুর পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। ১৪ বছর বয়সে মাইকেল নিজের শহর ছেড়ে অ্যাভিগানে পড়ালেখার উদ্দেশ্যে গমন করেন। অ্যাভিগানে দর্শন শাস্ত্র, ব্যাকরণ ও ক্যাথেলিক চার্জে প্রচুর জ্ঞান অর্জন করেন। অ্যাভিগানের লাইব্রেরি থেকে প্রচুর বই সংগ্রহ করেন এবং নানা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন শুরু করেন। জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী হওয়াতে অল্প বয়সেই তার ডাক নাম হয়ে যায় ছোট্ট জ্যোতির্বিদ।

জ্যোতির্বিদ্যার জ্ঞান অর্জনের পর দাদার পরামর্শে চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়ালেখার জন্য ভর্তি হন মন্ট পিলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে। চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়ালেখা শেষ করার পর সবার কাছে অতি দ্রুত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। দীর্ঘদিন গবেষণা করার পর আবিষ্কার করেন মহামারী প্লেগরোগের ওষুধ। এ আবিষ্কারের মাধ্যমে তিনি সারা ইউরোপ থেকে প্লেগ মহামারী উচ্ছেদ করেন। তৎকালীন সময়ে তার গবেষণার বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একে একে তিনি আবিষ্কার করেন ভিটামিন সি কমপ্লেক্স, রোজ পিল ইত্যাদি ওষুধ। উক্ত আবিষ্কারসমূহ দুর্ভিক্ষ ও দুর্যোগে জনসাধারণকে ভিটামিনের অভাব পূরণে সহায়তার করে। ১৫৫৫ সালে তিনি আবার জ্যোতির্বিদ্যায় মনোনিবেশ করেন। জ্যোতির্বিদ্যার উপরে 'ফরডিক ফ্রান্স' শিরোনামে বিখ্যাত একটি বই লিখেন। বিখ্যাত এই মনীষী ফ্রান্স রিভ্যুলেশন, নেপোলিয়নের আবির্ভাব, ১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধ, সাবমেরিন যুদ্ধ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যা পরিবর্তী সময়ে সম্পূর্ণ সঠিক হিসাবে পরিগণিত হয়। রাজা জর হেনরির পত্নী ক্যাথলিক টি মেডিসিন তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। যেকোনো কিছু আবিষ্কারের সময় তিনি ডি মেডিসিনের সাহায্য নিতেন। মেডিসিন যে ভবিষ্যতে ফ্রান্সের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হবেন তা তিনি তাকে বলে দিয়েছিলেন। ১৫৬৬ সালে বিশ্ববিখ্যাত এই মহাজ্ঞানী ইহলোক ত্যাগ করেন।



লেখা: মো. রিয়াজুল ইসলাম 
ছবি: উইকিপিডিয়া

0 comments:

Post a Comment