Breaking News
Loading...
Tuesday, January 4, 2011

প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সূচিত্রা মিত্র ১৯২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।

স্কটিশ চার্চ কলেজে থেকে পড়াশুনা করার জন্য বিশ্বভারতীতে যান। কবিগুরুর কাছে গান শিখলেও তার প্রকৃত শিক্ষাগুরু ছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীতের আরেক দিকপাল শিল্পী পঙ্কজ কুমার মল্লিক। ১৯৪১ সাল থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়া শুরু বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের স্কলারশিপ পেয়ে।

১৯৭৩ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মাননা দেয়। ১৯৮৬ সালে সঙ্গীত নাটক আকাদেমি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আলাউদ্দিন পুরস্কার, বিশ্বভারতীর দেশিকত্তোমসহ দেশে বিদেশে বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি।

দীর্ঘ দিন ধরে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সঙ্গীত বিভাগের প্রধান ছিলেন। রবীন্দ্র নৃত্যনাট্যেও তিনি সমান দক্ষ ছিলেন। ১৯৯৮ সালে ঋতুপর্ণ ঘোষ পরিচালিত সিনেমা ‘দহন’-এ তিনি অভিনয় করেছিলেন। ১৯৯৩ সালে পরিচালক রাজা সেন তাকে প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেন। রবীন্দ্রভারতী, যাদবপুর ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সাম্মানিক ডিলিট দেয়।

২০০১ সালে তিনি কলকাতা শহরের শেরিফ নিযুক্ত হন।

প্রবাদপ্রতিম এই শিল্পীর ৪৫০ টি রবীন্দ্র সঙ্গীতের রেকর্ড আছে। রবীন্দ্রসঙ্গীতের গায়কীর ক্ষেত্রে তাকেই আইকন বলতেন সমলোচকরা। এক সময় বামপন্থি আন্দোলনের সঙ্গে নিজেকে জড়ালেও সুচিত্রা ছিলেন রবীন্দ্র অন্তঃপ্রাণ। তিনি গণনাট্য সংঘের হয়ে কাজ করেছেন, গণসঙ্গীতের রেকর্ডও আছে তার।

৩ জানুয়ারি ২০১০ সোমবার দুপুরে কলকাতার গড়িয়াহাটের নিজ বাড়িতে উপমহাদেশের এই অগ্রগণ্য রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পীর জীবনাবসান হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। সন্ধ্যায় তার বাসভবন থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় পিস হেভেন সংরক্ষাণাগারে। ৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মরদেহ শায়িত সেখানে রাখা হয়। পরে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় পিস হেভেন থেকে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে। সেখানে মরদেহ থাকে আধ ঘণ্টা। সেখান থেকে শোকমিছিল করে নিয়ে যাওয়া হবে কলকাতার সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্র রবীন্দ্র সদন প্রাঙ্গণে। সেখানে রাজ্য সরকারের তরফে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সেখানে মরদেহ রাখা হয় দুই ঘণ্টা।

তারপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান রবিতীর্থে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে কলকাতার কেওড়াতলা মহাশশ্মানে। সেখানেই সুচিত্রা মিত্রের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

0 comments:

Post a Comment