ঐশ্বরিয়া রায়ের জন্ম ১৯৭৩ সালের পয়লা নভেম্বর, ভারতে মাঙ্গালরে। কৃষ্ণারাজ রাই ও বৃন্দা রাই'র ঘরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর মাতৃভাষা তুলু হলেও তিনি হিন্দী, ইংরেজি, মারাঠি এবং তামিল ভাষায় সাবলীলভাবেই কথা বলতে পারেন। তার বড় ভাইয়ের নাম অদিত্য রায়। তিনি বাণিজ্যিক নৌ বহরের একজন প্রকৌশলী এবং 'দিল কা রিস্তা' নামের একটি ছবির সহ-পরিচালক। ছোটবেলায় ঐর্শ্বয রায়ের মা-বাবা মুম্বাইতে চলে আসেন এবং সান্তা ক্রুজের আর্যবিদ্যা মন্দির উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করেন। সেভেনথ গ্রেডে পড়ার সময় পেন্সিলের বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছিলেন তিনি। উচ্চ মাধ্যমিক পড়েন মাতুঙ্গার রুপারেল কলেজ থেকে। স্কুলে পড়ার সময়ই তিনি খুব মেধাবী ছাত্রী ছিলেন এবং পর্ববর্তীতে এক স্থপতি হবার স্বপ্ন দেখতেন। এরপর রাই চার্চ গেটের জয়হিন্দ কলেজে স্থপত্য নিয়ে পড়াশুনা শুরু করলেও মডেলিংকে জীবিকা হিসাবে নেয়ায় তাকে তা চেড়ে দিতে হয়।
অভিনয় জগতে পদার্পনের আগ পর্যন্ত তিনি মডেলিং করতেন। পরে বিশ্বসুন্দরী হিসাবে কেতাব জেতার পর ব্যাপক খ্যাতি লাভ করেন। সমগ্র কর্মজীবনে রাই বেশকিছু আন্তর্জাতিক চলচিত্রসহ ৪০টির বেশী হিন্দি, ইংরেজী, তামিল ও বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
১৯৯৭ সালে মণি রত্নমের তামিল ছবি 'নরুবর' ছবিতে অভিনেত্রী হিসাবে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন এই বিশ্বসুন্দরী। ১৯৯৮ সালে প্রথম বাণিজ্যিক সাফল্য পান তামিল ছবি 'জিন্স' এর মাধ্যমে। সঞ্জয় লীলা বনসালী পরিচালিত 'হাম দিল দি চুকে সনম' এ অভিনয়ের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ারে পুরস্কার পান। এরপর ২০০২ সালে দ্বিতীয়বারে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জেতেন দেবদাস ছবিতে অভিনয়ের জন্য।
বিশ্বসুন্দরী উপাধি পাওয়ার পাশাপাশি গুনের কদর পেয়েছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়ে।
২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারী অমিতাভ বচ্চনের উপস্তিতিতে এশ্বর্য রায় ও অভিষেক বচ্চনের বাগদান সম্পন্ন হয়। ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল তাদের বিয়ে হয়। ২০১১ সালের ১৬ই নভেম্বর তাদের এক কন্যা সন্তান আসে। যার নাম আরাধ্য বচ্চন।
অস্কার জুরী বোর্ডের বিচারক ও এই বিশ্বসুন্দরীর সেলুলয়েডের দুনিয়ায় ফেরার কোন পরিকল্পনা নেই। মেয়েকে দেখভাল করতেই ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
0 comments:
Post a Comment