Breaking News
Loading...
Tuesday, March 5, 2013

ভারতের রাষ্ট্রীয় পদক পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত হয়েছেন নেয়াখালীর বিশিষ্ট সমাজ কর্মী, নোয়াখালী সোনাইমুড়ি উপজেলায় অবস্থিত গান্ধী আশ্রম ট্রাষ্টের সচিব শ্রী ঝর্ণাধারা চৌধুরী। 

শ্রী ঝর্ণাধারা চৌধুরী ১৯৩৮সালে ১৫ই অক্টোবর লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডীপুর ইউনিয়নের কালুপুর গ্রামের   চৌধুরী পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। ১৯৪৬ সালে পাক -ভারত উপ-মহাদেশে সংগঠিত হিন্দু-মুসলমান দাঙা শুরু হলে তার প্রভাব বৃহত্তর নোয়াখালীর রামগঞ্জ,লক্ষীপুর ও চৌমুহনীসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

তখন দ্ঙ্গাা পীড়িত এলাকায় হিন্দু-মুসলমানদের মাঝে শান্তি ,সম্প্রীতি ও অহিংস নীতি প্রচারের  লক্ষ্যে ভারতের মহাত্মা গান্ধী এসব এলাকায় ভ্রমণ করেন।তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৬ সালে নোয়খালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার জয়াগ বাজারে প্রতিষ্ঠিত হয় গান্ধী আশ্রম ট্রাষ্ট।

১৯৫৬ সালে ঝর্ণাধারা চৌধুরী গান্ধী আশ্রম ট্রাষ্টে একজন সমাজকর্মী হিসেবে যোগ দেন।সংসারত্যাগী,ব্রম্মচারিনী ,আত্মনিবেদিতা চিরকুমারী ঝর্ণধারা চৌধুরী  পূর্বেও তার কাজের ¯বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৮ সালে আর্ন্তজাতিক বাজাজ পুরস্কার,২০০০ সালে আমেরিকার ওল্ড ওয়েষ্টবেরী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক শান্তি পুরস্কার, ২০০১সালে অনন্যা পুরস্কার,২০০৩ সালে দূর্বার

নেটওয়ার্ক,২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় র্কতৃক পিস এন্ড কনফ্লিক্ট বিভাগ হতে পুরস্কার,২০০৭
সালে সাদা মনের মানুষ এবং ২০১০ সালে শ্রী চৈতন্য পদক লাভ করেন।

পদ্মশ্রী পদক লাভের পর তিনি তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন,নারী সমাজের প্রতি সন্মান ও নারীদেরকে সমাজ কর্মে কাজ করার উৎসাহ যোগাবে।

উল্লেখ্য তিনি ,সংসার ত্যাগী, ব্রহ্মচারিণী শ্রীযুক্তা ঝর্ণাধারা চৌধুরী নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট এর সচিব। সমাজসেবা ও জনকল্যাণে আত্মনিবেদিতা চিরকুমারী পরম শ্রদ্ধেয়া এই মহীয়সী মানব সেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
১৯৩৮ সালের ১৫ অক্টোবর লক্ষীপুর জেলায় ঝণাধারা চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম প্রমথ চৌধুরী এবং মাতার নাম আশালতা চৌধুরী। তিনি চট্টগ্রামের খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

চট্টগ্রামের প্রবর্তক সংঘের শিক্ষিকা এবং অনাথালয়ের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে তাঁর মানবসেবা আরম্ভ হয়। অনাথ শিশুদের জীবন গঠনে তিনি মূল্যবান ভূমিকা পালন করেছেন। অনাথ শিশুদের সেবা দিয়ে তিনি তাদের আত্মপ্রত্যয়ী ও স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলেছেন। তিনি তাদের শিখিয়েছেন জীবনে পরাজিত হতে নেই-জয় পতাকা হাতে অগ্রসর হয়ে জীবনকে সার্থক করে তুলতে হবে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রবর্তক সংঘের প্রায় ৫০০ শিশু ও কিশোরীকে পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাঁচিয়ে তিনি আগরতলা নিয়ে যান। সেখানে ত্রাণ কাজে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। হানাদার বাহিনীর হাতে নৃশংসভাবে নিহত প্রবর্তক সংঘের কর্তাব্যক্তিদের মরদেহ সৎকার এবং স্বাধীন বাংলাদেশে বিধ্বস্ত প্রবর্তক সংঘ পুর্ণগঠনে তিনি নিরলস কাজ করেছেন।

0 comments:

Post a Comment