Breaking News
Loading...
Tuesday, March 19, 2013

হো চি মিন ভিয়েতনামের স্বাধীকার আন্দোলনের নেতা। আজন্ম তিনি ভিয়েতনামের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করেছেন জনগণের মুক্তি, স্বাধীনতা ও অধিকারের জন্য। ভিয়েতনামবাসীর কাছে তিনি ‘আংকেল হো’ নামে পরিচিত।

জন্ম ও পরিবার:
১৮৯০ সালের ১৯ মে হো চি মিন জন্মগ্রহণ করেন। ভিয়েতনামের নগী আন প্রদেশের নাম দান জেলার হোয়াং ক্র গ্রামে। তার শৈশব কাটে কিম লিয়েন গ্রামে। সুদীর্ঘ সংগ্রামী জীবনে হো চি মিন বিশ্ববাসীর কাজে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে পরিচিত হন। নগুয়েন ভ্যান কুং, নগুয়েন তাত থান, নগুয়েক আই কুয়োক, লাই সই, ভূয়ং সন নিহি, লিনভ এবং হো চি মিন এতোগুলো নাম ছিল তার। প্রথম দুটি ছিল ছদ্ম নাম। এই ছদ্মনামেই বিশ্ববাসীর কাছে শেষ পর্যন্ত পরিচিত হয়ে থাকলেন হো চি মিন। হয়ে থাকলেন ইতিহাস।

হো চি মিনের বাবার নাম ছিল নগুয়েন হুই ওরফে নগুয়েন সিন সাক (১৮৬৩ - ১৯২৯)। নগুয়েন সিন সাকের জন্ম ক্ষেমজুর পরিবারে। দারিদ্র্যের জীবন সিন সাকের পছন্দ ছিল না। তীব্র মানসিক যন্ত্রণায় তিনি ভাবতেন দাসত্বের জীবন থেকে মুক্ত হওয়ার উপায়। তিনি উপায় হিসেবে শিক্ষাকেই বেছে নিলেন।

অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে পড়াশোনা করেন হো চি মিনের বাবা সিন সাক। অল্প সময়ের মধ্যেই সিন সাক পড়াশোনায় দ্রুত উন্নতি করতে থাকেন। এবং মেধাবী ছাত্র হিসেবে গ্রামে তার সুনামও ছড়িয়ে পড়ে। তার প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে পণ্ডিত আন তার বড় মেয়ে হোয়াং আই লোয়ানের বিয়ে দেন সিক সাকের সঙ্গে। হো চি মিনের মা হোয়াং আই লোয়ানও পরিশ্রমী নারী ছিলেন।

হো চি মিনের ছেলেবেলা:
আজীবন সংগ্রামী নেতা হো চি মিনের জীবন সংগ্রাম শুরু হয় শৈশব থেকেই। তার বাবার আর্থিক অবস্থা মোটেও সচ্ছল ছিল না। তাই দারিদ্র্যের নির্মমতা হো চি মিন শৈশব থেকেই প্রত্যক্ষভাবে নিজের জীবন দিয়ে উপলব্ধি করেন।

হো চি মিন শৈশবে দারিদ্র উপেক্ষা করে গাঁয়ের আর পাঁচটা ছেলের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতেন বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেতে, সবুজ-শ্যামল মাঠের প্রান্তরে। কখনও বা রাখালের সঙ্গে ঘুরতেন রাখাল বেশে। কখনও বন্ধুদের সঙ্গে চলে যেতেন পাহাড়ি পথে।

হো চি মিনকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করার সময় নাম দেওয়া হল নগুয়েন তাত থান। এ তার বয়স ছিল দশ। তবে এ সময় তারা গ্রামে ছেড়ে বাবার শিক্ষকতা পেশা শুরু করার জন্য হুয়েং শহরে এসে পড়ে। সংসারে তিন ভাই বোনের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হতো হো চি মিনের বাবার। প্রচন্ড পরিশ্রম করতে হতো হো চি মিনের মায়ের। এভাবে মা প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক পর্যয়ে মারা যায় হো চি মিনের মা। মানসিকভাবে প্রচন্ড ভেঙে পড়েন তিনি। তার বাবাও হতাশায় পড়েন। ঠিক করা হলো হো চি মিনকে আবারও গ্রামে পাঠিয়ে দিবেন। হুয়েং শুহর ছেড়ে হো চি মিন আবারও চলে গেল তার প্রিয় সবুজ ঘেরা গ্রামে।



হুয়েং শহরে হো চি মিন:
১৯০৪ সালে তরুণ হো চি মিন দ্বিতীয়বার পাড়ি জমালেন হুয়েং শহরে। গ্রামে থাকার সময় তিনি উপলব্ধি করেন তাকে আরও অনেক জানতে হবে। পুঁথিগতবিদ্যার পাশাপাশি জানতে হবে নিজের সমাজ, মানুষ এবং মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে। শিখতে হবে প্রচুর। শিখতে হবে মানুষের কাছ থেকে, পৃথিবীর কাছ থেকে।

১৯০৭ সালে হো চি মিন বিদ্যালয়ের শেষসীমা বেশ কৃতিত্বের সঙ্গেই শেষ করেন। এ সময়ই শুরু হয় সারা ভিয়েতনাম জুড়ে খণ্ড খণ্ডভাবে ফরাসিবিরোধী বিক্ষোভ আন্দোলন। এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল দেশের মাটি থেকে বিদেশিদের সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করা। বিদেশি শাসন-শোষণ আর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারণ মানুষ এ আন্দোল করতে বাধ্য হয়েছিল।

আন্দোলনে জড়িয়ে পড়লেন হো:
এ আন্দোলনে হো চি মিনের বাবা নগুয়েন সাকও যোগ দেন। পরিণতি হিসেবে শাসনগোষ্ঠী অন্যান্য আন্দোলনকারীর সঙ্গে তাকেও গ্রেফতার করে। পরে ফরাসি শাসকগোষ্ঠী সিন সাককে আটকে রাখে পৌলো বন্দর কারাদ্বীপে।

বাবা গ্রেফতার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে গেল হো চি মিনের ছাত্রজীবন এবং শুরু হলো প্রত্যক্ষ সংগ্রামী জীবন। এ সময় তিনি হুয়েং শহর ত্যাগ করে ফ্যান থিয়েট শহরে চলে যান। সেখানে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। এ সময়টা ছিল ১৯০৭ থেকে ১৯১১ পর্যন্ত। ইতিহাসবিদরা এটি তার আন্দোলনের পর্যায় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

এদিকে হো চি মিনের বাবাকে পৌলো কন্দর কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হলো। এ সময় বাবার সঙ্গে পুত্রের দেখা হয়। হো চি মিনের বাবা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করলেন তার এ তরুণ সন্তানের মনে ব্যাপক ক্ষোভ আর যন্ত্রণা। তিনি অন্তরদৃষ্টি দিয়ে উপলব্ধি করলেন এ সন্তান তার একার নয়। এ সন্তান এখন সারা ভিয়েতনামের সংগ্রামী মানুষের।

তিনি হো চি মিনকে প্যারিস পাঠানোর চিন্তা করলেন। কিন্তু এ জন্য কারিগরি বিদ্যালয়ে পড়তে হবে তিন বছর। হো চি মিন তিন বছর সময় নষ্ট না করে একটি চাকরি জোগাড় করে ফেললেন। সায়গান আর ফ্রান্সের ভার্সাই বন্দরের মধ্যে যাতায়াতকারী এস এস লা তুচে ত্রিভেলি নামের এক জাহাজে চাকরি হলো তার। তিনি যাত্রা শুরু করলেন প্যারিসের পথে।

পৃথিবীর পথে হো চি মিন:
হো চি মিন সম্পর্কে একটা প্রবাদ আছে- পেঁয়াজ রসুন আর আলুর খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে হো চি মিন দুনিয়া ঘুরে শেষ করেন। কথাটা নিতান্তই সত্যি। সুদীর্ঘকাল ধরে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ আর আমেরিকার দেশে দেশে ঘুরেছেন জাহাজের রসুইখানায় বাবুর্চির সহকারী হিসেবে। সায়গন থেকে প্যারি যাত্রাকালে তিনি যে জীবন শুরু করেন সেই বাবুর্চির সহকারীর কাজ করেছেন সুদীর্ঘদিন ধরে।

প্যারিসে তিনি যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন তা হলো নগরকেন্দ্রিক জীবনের পঙ্কিলতা। শিক্ষা সভ্যতার ছদ্মাবরণে বীভৎস ক্রিয়াকান্ডের নিয়ত ঘটনা দ্রুত তার কাছে স্পষ্ট হয়। তিনি মনে হয় নগরীর ভদ্রজনেরা জরাগ্রস্থ পঙ্গু। সবাই মানসিক ব্যাধির ভুগন্ত রোগী।

হো চি মিন কাজের ফাঁকে ফাঁকে জাহাজের সাধারণ যাত্রী কক্ষগুলোতে ঘুরতেন। আর নতুন করে পরিচিত হতেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে। বিভিন্ন দেশের মানুষ প্রতিদিন তার জন্য বয়ে আনতো নানা খবর। সবই নতুন খবর। তারা খবর দিত- ব্যবসার মন্দ ভাব, শ্রমিক বিদ্রোহ, মিল কারখানায় শ্রমিক বিদ্রোহ অথবা কাঁচামালের অভাবে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

লন্ডনে হো চি মিন:
একদিন দীর্ঘ জাহাজি জীবন ত্যাগ করে মাটিতে পা রাখলেন হো চি মিন। এটা ১৯১৩ সালের কথা। বাবুর্চিখানায় কাজে অভিজ্ঞ হো চি মিন লন্ডন নগরীতে আবারও জীবিকার জন্য বেছে নিলেন বাবুর্চিখানার কাজ। লন্ডনে হো চি মিন অবস্থান করেন ১৯১৩ থেকে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত। এরপর১৯১৯ সালের প্রথম দিকে তিনি আবারও ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে পথে পাড়ি দেন।

ভার্সাই সম্মেলন:
প্রথম সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ থেকে গেছে। কিন্তু সারা দুনিয়ার ভাগ বাটোয়ারা শেষ হয়নি। শেষ হয়নি দুনিয়ার বিভিন্ন জাতির ভাগ্য নির্ধারণ। সাম্রাজ্যবাদীর দস্যুরা সেই কাজ শেষ করার জন্য ১৯১৯ সালের বসন্তকালে সম্মিলিত হন ভার্সাইতে।

উন্নত বিশ্বের নেতাদের যখন ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত। তখন বজ্রঘাতের মতো উত্থাপন করলেন আটদফা দাবি সংবলিত এক প্রস্তাব। ভিয়েতনামি জনগণের পক্ষ থেকে ‘জাতিসমূহের অধিকার’ শিরোনামে এই প্রস্তাব উত্থাপন করা হলো। কে এই প্রস্তাব উত্থাপনকারী যুবক? নওয়েন আই কুয়োক অর্থাৎ দেশপ্রেমিক নওয়েন। শুরু হলো হো মিনের ছদ্মনাম গ্রহণের পালা।

ভার্সাইয়ে উত্থাপিত তার দাবিপত্রের মূল বিষয়গুলোর মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি, ফরাসি ও ভিয়েতনামিদের মধ্যে সমান অধিকার, জবরদস্তিমূলক শ্রম বিলোপ, লবণ কর রহিত এবং জবরদস্তিমূলক মদ্যপান ব্যবস্থার বাতিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই প্রস্তাবই হলো সাম্রাজ্যবাদী দস্যুদের বিরুদ্ধে তার প্রথম আঘাত। ভিয়েতনামের উপর কর্তৃত্বকারী ফ্রান্সের বুকে বসে ফরাসি উপনিবেশবাদবিরোধী তার পিতৃ-মার্তৃভূমির মুক্তির সনদ দাখিল করলেন হো চি মিন। অবাক বিস্ময়ে দেখল বিশ্ব!


১৯২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয়দিন ধরে ফরাসি সোসালিস্ট পার্টির ১৮৩ তম তুর কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয় প্যারিসে। এই কংগ্রেসে হো চি মিন তার ভাষণে বলেন,

প্রিয় বন্ধুগণ, বিশ্বের বিপ্লব সংগঠিত করার জন্য প্রয়োজনে আপনাদের সাহায্য করার প্রয়োজনে আজ এখানে আসতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু দুঃখ ও বেদনার সঙ্গে স্বীকার করছি যে আমার জন্মভূমিতে যে ঘৃণ্য ও অবিচার সংঘটিত হয়েছে ও হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর উদ্দেশ্য নিয়েই সমাজতন্ত্রী হিসেবে আমি এখানে উপস্থিত হয়েছি। আপনারা অবগত আছেন, পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় হতে চলল ফরাসি ধনবান শোষকগোষ্ঠী ইন্দ্রোচীনে তার হিংস্র রূপ নিয়ে এ অঞ্চলে উপস্থিত রয়েছে। ধনতন্ত্রের প্রয়োজনে বেয়োনেটের শক্তিতে তারা আমাদের ওপর কর্তৃত্ব বিস্তার করেছে। শুরু থেকে আজঅব্দি আমাদের ওপর শুধু যে অকথ্য নির্যাতন ও শোষণ চলেছে তাই নয়, অবাধ হত্যাকাণ্ড ও বিষ প্রয়োগের কথা আমি বলছি। ধনবাদি লুটেরারা ইন্দোচীনের ওপর কী পরিমাণ কুৎসিত নিপীড়ন চালিয়েছে এবং চালাচ্ছে তার বিশদ বর্ণনা সামান্য কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনাদের সামনে উপস্থিত করা সম্ভব নয়। বিদ্যালয়ের তুলনায় যেখানে জেলখানায় সংখ্যা বেশি।

জেলখানার দরজা সব সময়ই খোলা থাকে আর সেখানে ভিড়ের অভাব নেই। স্বদেশবাসীর কারো মধ্যে সমাজবাদী মনোভাব লক্ষ্য করলেই তাকে জেলে আটক করা হচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে বিনা বিচারে প্রাণদণ্ড দেয়া হচ্ছে। ইন্দোচীনে এই হল সাম্রাজ্যবাদের ন্যায়নীতি বোধ। সেখানে মানুষকে ভিন্ন ভিন্ন মানদন্ডে বিচার করা হয়ে থাকে। ইউরোপীয় বা ইউরোপের জীবন ধারণের উপযোগী নাগরিক অধিকার আন্নামিজরা কখনও পায়নি।
১৯২৪ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি হো চি মিন কমিন্টার্নের নির্দেশে চীনের ক্যান্টনে উপস্থিত হন। এখানে তরুণদের উদ্দেশ্যে হো চি মিন এক ভাষণ দেন। তাতে তিনি বলেন,

‘একজন মানুষ যা চাইবে ইন্দোচীনে তার সবই আছে। যেমন বন্দর, খনি, বিস্তীর্ণ শস্যক্ষেত, বিরাট বনভূমি এবং যোগ্য ও কঠোর পরিশ্রমী শ্রেণী। কিন্তু আমাদের সংগঠন ও সংগঠকের বড্ড অভাব। সে কারণেই আমাদের শিল্প আর ব্যবসা বাণিজ্যের কোনো মূল্য নেই। আমাদের যুবকরা কী করছে? খুবই দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, তারা কিছুই করছে না। যাদের অর্থ সামর্থ্য নেই, তারা গ্রাম ছেড়ে যেতে সাহস করে না। আর যাদের কিছু আছে তারা অলসভাবে ভোগসর্বস্ব পাপের জীবন যাপন করছে। হতভাগ্য ইন্দোচীন! যদি তোমার প্রাচীপন্থী যুব সমাজ জীবনের মধ্যে ফিরে না আসে, তবে তোমার মৃত্যু অনিবার্য।’

হো চি মিনের মতো মহান নেতার জীবনে লিপিবদ্ধ করা অনেক কঠিন। তার সংগ্রামী ভাবনা এমনকি সংগ্রামী জীবন অনেক বৈচিত্র্যময়। দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের শেষ দিকে ইন্দোচীনের জনগণ মহান ত্যাগের ভিতর দিয়ে আপোসহীন সংগ্রাম চালিয়ে যেসব বিজয় অর্জন করেন তার এক গুরুত্বপূর্ণ সারসংকলন করেন হো চি মিন-
এ যুগের বিপ্লবী সংগ্রামের অনুকূল পরিস্থিতি, যে কোনো জাতি, যে যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন, যদি সঠিক রাজনৈতিক ও সামরিক লাইন নিয়ে সমস্ত জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে দৃঢ়তার সঙ্গে সংগ্রাম চালায় এবং সমাজতান্ত্রিক শিবির ও বিশ্বের বিপ্লবী জনগণের কাছে থেকে সক্রিয় সাহায্য ও সমর্থন পায়, তাহলে যে কোনো সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণকে, এমনকি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকেও পরাজিত করতে পারে।

মৃত্যু:
এ মহান নেতা ৩ সেপ্টম্বর ৭৯ বয়সে মারাত্মক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। আংকেল হো হয়তো তার জীবনকালে নিজ দেশের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা দেখে যেতে পারেননি। এখন নিশ্চয় মৃত্যুর ওপারে দাঁড়িয়ে হাস্যোজ্জ্বল সেই মহান নেতা যখন দেখেন তার দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে বেঁচে আছে তখন তিনি নিশ্চয় আনন্দিত হন।

(বি.দ্র: হো চি মিনের জীবন সংগ্রাম নিয়ে অসাধারণ একটি বই লিখেছেন আইরীন নিয়াজী মান্না। ২০১৩ সালের একুশে বই মেলায় উৎস প্রকাশ থেকে বইটি প্রকাশিত হয়েছে। এ বইটি থেকে সংক্ষেপিত আকারে হো চি মিনের জীবনচিত্র তুলে ধরা হয়েছে।)

সম্পাদনা: শেরিফ সায়ার, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

0 comments:

Post a Comment