আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হাজি মো. তায়েব উদ্দিন ও মাতা তমিজা বেগমের।
হামিদ গুরুদয়াল কলেজ থেকে মানবিকে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্মাতক ডিগ্রি নেন। এরপর ঢাকার সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে এলএলবি পাস করার পর কিশোরগঞ্জ বারে আইন পেশায় যোগ দেন তিনি। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ সাল পরপর্যন্ত পাঁচবার জেলা বার সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
আবদুল হামিদের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৫৯ সালে ছাত্রলীগে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে। কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থাতেই ১৯৬১ সালে যোগ দেন আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে। এক পর্যায়ে তাকে কারাগারেও যেতে হয়।
১৯৬৪ সালে কিশোরগঞ্জ সাব ডিভিশনের ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব নেন আবদুল হামিদ। এরআগে গুরুদয়াল কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৬৬-৬৭ সালে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতির পদে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর আওয়ামী লীগে যোগ দেন ১৯৬৯ সালে।
আবদুল হামিদ ময়মনসিংহ-১৮ আসন থেকে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর স্বাধীনতা যুদ্ধে শুরু হলে তিনি যুদ্ধে যোগ দেন।
তিনি ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হন।
আবদুল হামিদ ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ, ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ, ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ এবং সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হন।
সপ্তম সংসদে ১৯৯৬ সালের ১৩ জুলাই থেকে ২০০১ এর ১০ জুলাই পর্যন্ত ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালনের পর ২০০১ এর ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত স্পিকার হিসাবে সংসদ পরিচালনা করেন আবদুল হামিদ। নবম সংসদে নির্বাচিত হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো স্পিকার হন।
আব্দুল হামিদকে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে চলতি বছর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়।
রোববার সকালে সংসদীয় দলের সভায় রাষ্ট্রপতি পদে আবদুল হামিদের নাম প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ। তাতে সমর্থন জানান উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য আমির হোসেন আমু। এ পদে আর কারো নাম প্রস্তাবই করেন নি কেউ।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের অসুস্থতার কারণে গত ১১ মার্চ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পান স্পিকার আবদুল হামিদ।
0 comments:
Post a Comment