Breaking News
Loading...
Tuesday, April 2, 2013


সমুদ্র অভিযানের কথা উঠলে সবার আগে উচ্চারিত হয় কলম্বাস ও ভাস্কো দ্য গামার নাম। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বেও এমন অনেক অভিযাত্রী রয়েছেন, যারা সমুদ্র অভিযানে নতুন করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। এদের মধ্যে লরা ডেকার অন্যতম। ষোড়শী এই ডাচ বালিকা সমুদ্রেপথে একাকী বিশ্ব ভ্রমণ অভিযান শেষ করে সমুদ্র জয়ের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে। মহাসাগর থেকে মহাসাগরে, দীর্ঘ এই নিঃসঙ্গ যাত্রায় তার বাহন বলতে ছিল একটি ক্ষুদ্র ইয়াট। জলপথে বিশ্ব পরিভ্রমণ শেষে ২০১২ সালের ২১ জানুয়ারি আটলান্টিকের ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের কূলে ভিড়ে তার বোট। এর ভেতর দিয়েই সমাপ্তি ঘটে তার এই দীর্ঘ অভিযানের। ডেকার এই একই পোতাশ্রয় থেকে ২০১০ সালের ২১ আগস্ট যাত্রা শুরু করে। আর এই যুগান্তরী অভিযান শেষ করে পোতাশ্রয় এসেই। এই কিশোরী যখন দ্বীপের পোতাশ্রয়ে বোট থেকে নেমে আসে তখন বাতাসে ছুড়ে দেয় উদ্বেলিত দুই বাহু। তার উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙে পড়ে বিশ্বজয়ের আনন্দে। লরা ডেকার নামের এই বালিকার ইতিহাস সৃষ্টির সাক্ষী হতে বন্দরে তখন হাজির হন কয়েকশ' মানুষ। তারা হর্ষধ্বনির মাধ্যমে তার বিজয় উদযাপনের সঙ্গী হন। অভিযান শেষে তার দাবি অনুযায়ী তিনিই বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নাবিক, যে একা বিশ্বভ্রমণ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। তবে তার দুর্ভাগ্য, গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ তার এই কৃতিত্বের কোনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তাদের দাবি, এ সফরকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে এ ধরনের বিপজ্জনক কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করতে চান না তারা। দুঃসাহসী এই ডাচ বালিকার অভিযানে কম বিঘ্ন সৃষ্টি হয়নি। তবে তার এই সফরে প্রকৃতি খুব কমই বাধার সৃষ্টি করে। তার সামনে মূলত বাধার পাহাড় হয়ে দাঁড়ায় তার নিজের দেশ হল্যান্ড কর্তৃপক্ষ। এমনকি নিজের স্কুল কর্তৃপক্ষ, যেখানে সে পড়াশোনা করত তারাও মেনে নিতে পারেনি তার এই আকাঙ্ক্ষাকে। ডাচ কর্তৃপক্ষ বিভিন্নভাবে তাকে এ অভিযান থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে। তাদের দাবি, এ ধরনের বিপজ্জনক অভিযানের জন্য তার বয়স এখনো অনেক কম। নিউজিল্যান্ড উপকূলে এক সমুদ্র সৈকতের পাশে তার জন্ম। মূলত বোটের ডেকেই লরা ডেকারের শৈশব বেড়ে ওঠে। সে মাত্র ছয় বছর বয়সেই একা বোট চালায়, আর যখন তার বয়স ১০ তখন থেকেই সে মূলত স্বপ্ন দেখে সাগর পথে একা একা বিশ্ব পাড়ি দেওয়ার।

0 comments:

Post a Comment