Breaking News
Loading...
Tuesday, April 9, 2013

রাশিয়ানদের সম্রাট এবং একনায়ক বলে পরিচিত দ্বিতীয় নিকোলাস। জন্ম ১৮৬৮ সালে ১৮ মে। তিনি রাশিয়ার শেষ সম্রাট। ফিনল্যান্ডের গ্রান্ড ডিউক এবং পোল্যান্ডেরও সম্মানসূচক রাজা ছিলেন নিকোলাস। যদিও ১৭২১ সালে টিজারডোম বা রাজ শাসনের অবসান হয়, তবুও রাশিয়ান অন্য সম্রাটদের মতো তাকে টিজার বলা হতো। এ ছাড়া রাশিয়ান অর্থোডঙ্ চার্চ তাকে সেইন্ট নিকোলাস বলে অভিহিত করত। তিনি ১৮৯৪ সাল থেকে শুরু করে ১৯১৭ সালে অসুস্থ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দেশ শাসন করেন। তার শাসনামলে রাশিয়া পৃথিবীর সুপার পাওয়ারে পরিণত হয়। যদিও তখন বিশ্বে অর্থনৈতিক ধ্বংস চলছিল। তবে তার শত্রুরা তাকে 'ব্লাডি নিকোলাস' বলে ডাকত। কারণ বিরুদ্ধাচরণকারী রাজনীতিবিদদের নির্বিচারে ফাঁসি প্রদান করতেন নিকোলাস। এ কারণে তার বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস পেতেন না কেউই।

কেউ কেউ বলেন, নির্বিচারে গণহত্যা করেছেন রাশিয়ার এই সম্রাট। এ ছাড়া তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং নিজের স্বার্থসিদ্ধিতে মিলিটারি ক্যাম্পেইন করতেন। তবে নিজ দেশের স্বাধীনতার জন্য বরাবরই আপসহীন ছিলেন নিকোলাস। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেননি। প্রতিপক্ষকে নিয়ে ঘাবড়াতেন না। তার নেতৃত্ব রুশ-জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করে রাশিয়া। রাজ্যের শীর্ষ কর্তাব্যক্তি হওয়ায় তার অনুমতিতেই রাশিয়া ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। যে যুদ্ধে প্রায় ৩০ লাখ রাশিয়ান আত্দাহুতি দেয়। যুদ্ধে তার ইম্পেরিয়াল আর্মি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার বহুবিধ ভুল সিদ্ধান্তের কারণে রোমানভ রাজত্ব ধ্বংসের মুখে পতিত হয়। এ জন্য তাকে চড়া মাশুল দিতে হয়েছিল। সে সময় জনরোষের কবলে পড়েন এই সম্রাট। শেষ পর্যন্ত ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণঅভ্যুত্থানের মুখে তিনি এবং তার পরিবার আলেকজান্ডার প্যালেসে বন্দী হন। পরবর্তী সময়ে তাদের সেখান থেকে গভর্নরস ম্যানশন টবলস্কিতে প্রেরণ করা হয়। এ সময় রাশিয়াতে এক প্রকার গৃহযুদ্ধ চলতে থাকে। একে অন্যকে ঘায়েলে ব্যস্ত ছিলেন সবাই। প্রতিপক্ষকে কিভাবে দমানো যায় সেই কৌশল আটত শীর্ষস্থানীয় নেতারা। পরবর্তী সময়ে ১৯১৮ সালে নিকোলাসকে স্থানীয় সোভিয়েতদের হাতে তুলে দেন তৎকালীন কমিশার ভ্যসিলি ইয়াকোভলেভ। ১৯১৮ সালের ১৬ অথবা ১৭ জুলাই স্ত্রী আলেকজান্দ্রা, ছেলে অ্যালেঙ্গে নিকোলাইভিচ, চার কন্যা, পারিবারিক চিকিৎসক, পারিবারিক রাঁধুনিসহ নিকোলাসকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে বলশেভিকরা।

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

0 comments:

Post a Comment